রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীঘ্রই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়কটি উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে। সড়কটি উদ্বোধনের মাধ্যমে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হচ্ছে। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০১৬ সালে ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে কুষ্টিয়া শহর বাইপাস সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সাত কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। নবনির্মিত বাইপাসটি বটতৈল থেকে শুরু হয়ে বারখাদা ত্রিমোহনীতে গিয়ে শেষ হয়েছে। বাইপাসের শুরু ও শেষ প্রান্তে দুটি গোল চত্বর নির্মাণ করা হয়েছে। বটতৈল প্রান্তের গোল চত্বরের দু’দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়ক- যার একদিক চলে গেছে খুলনা অভিমুখে, অপরপ্রান্ত শহরমুখে। গোল চত্বরের আরেক পাশের আঞ্চলিক মহাসড়ক গেছে চুয়াডাঙ্গার দিকে। অন্যদিকে বাইপাসের শেষ প্রান্ত বারখাদা গোল চত্বর থেকে জাতীয় মহাসড়কটি ঈশ্বরদী-সিরাজগঞ্জের দিকে এবং অন্যদিক গিয়েছে কুষ্টিয়া শহর ও বাইপাস অভিমুখে। দেশের উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার হবে এ বাইপাস সড়ক।
আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপির প্রচেষ্ঠায় বাইপাস সড়কটির কার্যক্রম এগিয়ে চলে। কুষ্টিয়া সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়া শহর বাইপাসের ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্তের ডাবল লেনবিশিষ্ট মূল সড়ক চার কিলোমিটার এবং সাড়ে ছয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে বাইপাস সড়ক। উক্ত সড়কেরমাঝে একটি পিসি গার্ডার সেতু ও ২১টি আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণকরা হয়েছে। বাইপাসের প্রায় সকল কাজ সমপন্ন হয়েছে। তা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় অনেক মানুষ এ জেলায় আসে যায়। এ ছাড়াও, উত্তরবঙ্গের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ মংলা পোর্টসহ সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগের রুট এই কুষ্টিয়া। ভেড়ামারায় নির্মিত লালন শাহ সেতু হওয়ায় শহরের এ সড়কে যানবাহনের চাপ আরও বেড়ে যায়।
ফলে দল মত নির্বিশেষে কুষ্টিয়াবাসীর প্রাণের দাবি ছিল এই বাইপাস সড়ক। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থানীয় বাস-ট্রাক মালিকগণ দীর্ঘ দিন থেকে বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ফল হয়নি। বিএনপির সরকারের সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ২০০৮ সালে কুষ্টিয়া শহরতলীর বটতৈলে ভূমি অধিগ্রহণ এবং অর্থ বরাদ্দ ছাড়াই কুষ্টিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণের ফলক উন্মোচন করেছিলেন। বর্তমান আ.লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন কাজ হাতে নেয়। এলাকাবাসী জানান, নির্বাচনের আগে এবং পরে আ.লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া একাধিক বার কুষ্টিয়ার বটতৈল থেকে বারখাদা ত্রিমোহনী পর্যন্ত বাইপাস সড়কটি নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, তাদের সরকারের সময়ে যত দ্রুত সম্ভব কুষ্টিয়ার এই বাইপাস সড়কটি নির্মান সম্পন্ন করা হবে। অবশেষে আ.লীগ সরকারের সময়েই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বাইপাস সড়কটি নির্মাণ হলো। কুষ্টিয়াবাসীসহ এলাকাবাসীর দাবি অবশেষে পূরণ হলো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।