পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
![img_img-1719634409](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678114576_20.jpg)
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানে সউদী আরবের বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে চীন সোমবার বলেছে যে আলোচনার ভিত্তিতে তৃতীয় কোন দেশ যদি আঞ্চলিক সমৃদ্ধি ও কানেকটিভিটি জোরদারের জন্য অবদান রাখতে আগ্রহী হলে তা হবে একটি ‘ইতিবাচক ফ্যাক্টর’। স¤ম্প্রতি সউদী আরব সফর করেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তখন ঘোষণা দেয়া হয় যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের ‘চায়না-পাকিস্তান ইকনমিক কিরিডোর (সিপিইসি)’র তৃতীয় কৌশলগত অংশীদার হবে রিয়াদ। চীনের মাল্টি-বিলিয়ন ডলার ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই)’র ফ্লাগশিপ প্রকল্প এই সিপিইসি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয় কানেকটিভি ও অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলকে সংযুক্ত করার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন এটি তারও অংশ। তবে ইলামাবাদের নেতারা পরে ব্যাখ্যা করে বলেন যে, সউদী আরবের বিনিয়োগ সিপিইসি’র আওতায় হবে না। সিপিইসি শুধু চীন ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি দ্বিপাক্ষিক প্রকল্প হিসেবে থাকবে। পাকিস্তানে সউদী আরবের বিনিয়োগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে চীনা পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র লু কাং বলেন, বিআরআই-এর অধীনে সিপিইসি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প।
তিনি বলেন, ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতে এবং পারস্পরিক লাভের জন্য বিআরআই প্রকল্পগুলো নেয়া হচ্ছে। তাই এ ধরনের আলোচনা সবসময় উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ। অন্য কোন পক্ষ যদি আলোচনার ভিত্তিতে এ অঞ্চলের সমৃদ্ধি ও কানেকটিভিটি জোরদারে ইতিবাচক ফ্যাক্টর যুক্ত করতে চায়, আমি মনে করি এটা একটি ইতিবাচক ফ্যাক্টর হবে। পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করায় ভারত সিপিইসি’র বিরোধিতা করে আসছে। সউদী আরবের বিনিয়োগের খবরে দেশটির কৌশলগত প্রতিদ্ব›দ্বী ইরান বিচলিত হতে পারে বলেও উদ্বেগ তৈরি হয়।
হংকং ভিত্তিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’র এক নিবন্ধে বলা হয়, পাকিস্তান সিপিইসি’তে সউদী আরবের বিনিয়োগ নিলে তাতে চীন ক্ষুদ্ধ হবে। এতে বলা হয়, গোয়াদার বন্দরে একটি বড় আকারের তেল শোধনাগার নির্মাণে সউদী আরবকে আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। এ সিদ্ধান্ত থেকে মনে হয় অবশেষে চীনের বদলে আরো পক্ষের স্বার্থ হাসিলের জন্য সিপিইসি’কে কাজে লাগানো হবে। নিবন্ধে বলা হয়, ইরান সীমান্তের সঙ্গে বালুচিস্তান প্রদেশে গোয়াদার বন্দরের অবস্থান। ফলে ইরান সীমান্ত থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে কৌশলগত তেলের মজুত গড়ে তুলতে পারে রিয়াদ। অন্যদিকে, ইরান তার সমস্যাগ্রস্ত অর্থনীতিকে আরো সমস্যায় ফেলতে এ ধরনের প্রকল্পে ক্ষুব্ধ হতে পারে।
রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান যে বালুচিস্তানবাসীর স্বার্থ সুরক্ষার জন্য সিপিইসি’র প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করা হবে। সিপিইসি’র অনেক প্রকল্পে’র স্বচ্ছতা না থাকায় অতীতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সমালোচনা করেছেন খান। তিনি বলেন, এই মেগা প্রকল্প নিয়ে বালুচিস্তানের অনেক আপত্তি রয়েছে। তাই বালুচিস্তানকে ন্যায্য অংশ দিতে হবে।
গত সেপ্টেম্বরে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি পাকিস্তান সফরে গিয়ে ঘোষণা দেন যে বালুচিস্তানসহ পাকিস্তানে পশ্চিমাঞ্চলে সিপিইসি’র প্রকল্পগুলো স¤ম্প্রসারণ করা হবে। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।