বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
ভারতীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, পূর্ব-মধ্য ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও ঘণীভূত হয়ে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
পরের ৭২ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং বৃহস্পতিবার দিনের প্রথম ভাগে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন।
এ আগে সেপ্টেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছিল। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে তার নাম দেওয়া হয় দেয়ি। ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করে দুর্বল হয়ে পড়া সেই ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এবারের নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে এর নাম হবে তিতলি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের আবহাওয়া দপ্তর ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্যানেলে ‘তিতলি’ নামটি প্রস্তাব করে পাকিস্তান। এর অর্থ প্রজাপতি।
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা থেকে ৮৭০ কিলেমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ওই সময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছিল।
নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আরব সাগরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় ইতোমধ্যে তৈরি হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘লুবান’। ঘূর্ণিঝড়টি আরও শক্তি সঞ্চয় করে ওমানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।