Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পণ্য পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত

মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবি আদায়ে ঢাকা বিভাগে পণ্য পরিবহনবাহী যানবাহন ধর্মঘট চলছে। বাংলাদেশ পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট শুরু হয়েছে রবিবার সকাল ছয়টা থেকে। ধর্মঘটের কারণে গতকাল সোমবারও কোনো পণ্যবাহী পরিবহন ঢুকছে না রাজধানীতে। গতকাল রাত ৮টার দিকে মোহাম্মদপুর বেরিবাধ এলাকায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালক ও শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এবং কয়েকজন আহত হয় বলে জানা গেছে।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি জামাল উদ্দিন মীর জানান, পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিলে তারা চলে যায়। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
অন্যদিকে রাজধানীতে গতকাল সোমবার অন্যান্য দিনের চেয়ে কম বাস চলতে দেখা গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। পণ্য পরিবহনে যান চলাচল বন্ধ থাকায় রাজধানীতে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সংশ্লিস্ট্ররা। সদ্য পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইন সংশোধন ও মহাসড়কে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বানে গত রোববার থেকে আন্দোলনে মাঠে নেমেছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।
গতকাল সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রাক -কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি। এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য স্ট্যান্ডেও ট্রাক -কাভার্ডভ্যান বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতারা জানান, তাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা বিভাগের জেলাগুলোর মধ্যে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখা হবে। সম্প্রতি পাস হওয়া সড়ক পরিবহন আইনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ আরো জানায়, ১২ অক্টোবরের মধ্যে ওই আইন সংশোধন করা না হলে পরিবহন ধর্মঘটসহ আরো বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে। বর্তমানে ঢাকা বিভাগের ১৭টি জেলায় সব ধরনের পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তেজগাঁও ট্রাক -কাভার্ডভ্যান স্ট্যান্ডের এক শ্রমিক নেতা বলেন, আমাদের ওপরে যে আইন করা হয়েছে আমাদের ড্রাইভারদের মৃত্যুদন্ড বা আমাদের মালিকদের অ্যারেস্ট করা বা আপনের এই যে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা এইভাবে তো আমরা গাড়ি চালাইতে পারি না। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সংশোধন করা, সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০২ ধারায় মামলা গ্রহণ না করা, ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান বাতিল ও জামিনযোগ্য ধারায় মামলা করা, টাঙ্গাইল জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য হাসমত আলীসহ মালিক ও শ্রমিক মুক্তি, পুলিশের হয়রানি বন্ধ করা, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধাসংবলিত ট্রাক টার্মিনাল বা স্ট্যান্ড নির্মাণ করা, গাড়ির মডেল বাতিল করতে হলে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া, সহজ শর্তে ভারী যানবাহন চালককে ভারী লাইসেন্স দেয়া ও এর আগপর্যন্ত হালকা বা মধ্যম লাইসেন্স দিয়ে ভারী যানবাহন চালানোর সুযোগ দেয়া, সারাদেশে গাড়ির ওভারলোডিং বন্ধ করা এবং ফুটপাত, ওভারব্রিজ, আন্ডারপাস ও জেব্রাক্রসিং ব্যবহার নিশ্চিত করা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পণ্য পরিবহন

২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ