Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ-ভারত পণ্য পরিবহন প্রথম জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়তে পারল না

প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : একেবারে গোড়াতেই হোঁচট খেল বাংলাদেশ-ভারত কোস্টাল শিপিং চুক্তির আওতায় সরাসরি জাহাজযোগে ভারতে পণ্যসামগ্রী পরিবহন।
গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত ওই চুক্তির আওতায় প্রথম জাহাজ ‘এমভি হারবার-১’ চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যেতে পারল না। দুই দফায় সময় বাড়িয়ে জাহাজটি কম-বেশি ১৫০টি খালি কন্টেইনার নিয়ে পূর্ব ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের কৃঞ্চাপাটনাম বন্দরের উদ্দেশে গতকাল দুপুর নাগাদ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগের কথা ছিল। কিন্তু জাহাজে কন্টেইনার ওঠানোর কাজ মাঝপথে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাহাজটি খালি কন্টেইনার বোঝাই শেষ না করে বন্দর ছেড়ে যেতে পারছে না। কবে বন্দর ছাড়বে তাও এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত।
শিপিং সূত্রে জানা গেছে, ‘এমভি হারবার-১’ জাহাজে গতকাল সকাল পর্যন্ত মাত্র ৩০টি কন্টেইনার লোডিং হওয়ার পর ক্রেন বিকল হয়ে কন্টেইনার ওঠানোর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে জাহাজটির চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এর আগে দুই দফায় জাহাজটি বন্দর ছাড়ার সময় বৃদ্ধি করা হয়। গত ১৫ মার্চ বন্দরের এনসিটি জেটিতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর ওই জাহাজ বন্দর ত্যাগের প্রথম তারিখ ছিল ১৭ মার্চ। ১৫ মার্চ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী, সচিবসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জমকালোভাবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। তবে খালি কন্টেইনার না পাওয়ায় দুই দফায় আরও ৪ দিন সময় বাড়িয়ে অবশেষে গতকাল জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছিল। ‘এমভি হারবার-১’ জাহাজ কন্টেইনার বোঝাই করার জন্য গত রোববার চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভিড়ে। এই রুটে জাহাজ পরিচালনা করছে মাদারীপুরের সরকারদলীয় এমপি নূর-ই-আলম চৌধুরীর মালিকানাধীন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান নিপা পরিবহন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কম-বেশি ১৫০টি খালি কন্টেইনার নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ‘এমভি হারবার-১’ জাহাজের চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে প্রত্যাশিত কন্টেইনার না পাওয়ায় দু’দিন সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়। এর মধ্যেও কাক্সিক্ষত পরিমাণ কন্টেইনার পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে টানা তিন দিনের ছুটির কারণেও কন্টেইনার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়।
‘এমভি হারবার-১’ জাহাজটি নির্মিত হয়েছে চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডে। এই জাহাজ কন্টেইনার ও খোলা (ব্রেক বাল্ক) উভয় ধরনের পণ্যসামগ্রী পরিবহন করতে সক্ষম। জাহাজটি সর্বোচ্চ ১৭০ একক কন্টেইনার পরিবহন করতে পারে। এর আগে জাহাজটি চট্টগ্রাম-পানগাঁও নৌপথে পণ্য পরিবহন করে।
গত বছরের জুন মাসের গোড়াতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময় সম্পাদিত উপকূলীয় জাহাজ চলাচল (কোস্টাল শিপিং) চুক্তি এবং পরবর্তী সময়ে এর বাস্তবায়ন দিকনির্দেশনার আলোকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতের কৃঞ্চাপাটনাম বন্দরে বাংলাদেশের সরাসরি জাহাজ চলাচলের এই উদ্যোগটি নেয়া হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ভারতের পূর্বাঞ্চলের সাতটি উপকূলীয় বন্দর হচ্ছে কলকাতা, হলদিয়া, পেরাদ্বীপ, বিশাখাপটনাম, কাকিনাদা, কৃষ্ণাপটনাম ও চেন্নাই। বাংলাদেশের বন্দরসমূহ হচ্ছে চট্টগ্রাম, পানগাঁও আইসিটি, নারায়ণগঞ্জ, আশুগঞ্জ, পায়রা, খুলনা ও মংলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ-ভারত পণ্য পরিবহন প্রথম জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়তে পারল না
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ