পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচদিনের এই উৎসবের প্রাক্কালে গতকাল সোমবার মহালয়ায় হিন্দু সম্প্রদায় চন্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে নেমে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজামন্ডপগুলোতে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। চন্ডীপাঠ ছাড়াও মঙ্গলঘট স্থাপন, চন্ডীপূজা এবং ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানান ভক্তরা। ভক্তিমূলক সঙ্গীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আলোচনা সভা ছিল দিনের আনুষ্ঠানিকতার অংশ। অনেক ভক্তই তাদের মৃত আত্মীয়-পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতির জন্য প্রার্থনা করে তর্পণ করেন।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মূল পূজা। ১৯ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় অনুষ্ঠান।
মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, এবার সারাদেশে ৩০ হাজার ২৫৮টি পূজা মন্ডপে দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার মন্ডপ বেড়েছে ৮৬৩টি। ঢাকা মহানগরে এবার ২৩০টি মন্ডপে পূজা হবে। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ২২৯টি। শৈলেন্দ্রনাথ জানান, ঢাকা মহানগরীতে গত বছরের চারটি স্থানে পূজা হবে না এবার। তবে নতুন করে আরও ৫টি যোগ হয়েছে। এবারের পূজা এক বিশেষ সময়ে উদযাপিত হবে। সামনে নির্বাচন। আমরা আশা করব, সরকার পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সাথে একাধিক বৈঠক করেছি। তারাও আশ্বস্ত করেছেন। আশা করব এবারের দুর্গোৎসব আরো বেশি আনন্দময় হবে।
গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপে চন্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চন্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচন্ডী অর্চনা ছিল শুরুতে। এ সময় দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা আবাহন ও ভক্তিমূলক সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সকালে মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়। ঢাকেশ^রী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত রঞ্জিত চত্রক্রবর্তী পূজা পরিচালনা করেন। পরে মন্দিরের নিজস্ব পুকুরে গত বছরের দেবী প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। রামকৃষষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দিরেও ছিল অনুরুপ আনুষ্ঠানিকতা। সেখানে চন্ডীপাঠ ও চন্ডীপূজা ছাড়াও আবাহন সঙ্গীত পরিবেশিত হয়েছে।
গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ বনানী পূজামন্ডপে ভোরে চন্ডীপাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর মঙ্গলপ্রদীপ জ্বেলে মহালয়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা উদযাপন পরিষদ সভাপতি সুবল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু কুমার দাস শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।