Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বর্তমানে দেশে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা চলছে

আইনের শাসন শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ভিন্নমতের কারও ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। প্রধান বিচারপতি এবং নিম্ন আদালতের আরেক বিচারপতির দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিচারকদের মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। বর্তমানে দেশে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা চলছে। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শীর্ষক সেমিনারে আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, প্রেসিডেন্ট চার বিচারপতিকে ডেকে নিয়ে গেলেন, তাদেরকে শিখিয়ে দিলেন। তারা এসে প্রেসিডেন্টের কথা মতো বললেন, তোমার সঙ্গে (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) আমরা বিচারে বসবো না। অভিযোগের মামলা দায়েরের আগেই অভিযোগের বিচার হয়ে গেলো। সাবেক প্রধান বিচারপতিকে বের করে দেয়া হয়েছে, আইনজীবীদের অনৈক্যের কারণে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিতাড়ন জাতিকে একটি সংকটে ফেলেছে। যে দেশে প্রধান বিচারপতি বিচার পায় না, সে দেশে খালেদা-তারেক আমরা কেউ বিচার পাবো না। তিনটি ম্ভর একটি প্রশাসন, যেটা এখন পুলিশ নিয়ন্ত্রিত এবং রাষ্ট্রটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। বাকি দুটি স্তম্ভ (বিচার ও আইন) অসহায় হয়ে পড়েছে।
নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকলে তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে আজ জেলে যেতে হতো না। তারেক রহমানের ওপর এই ধরনের নির্যাতন হতো না। আমাদের লড়াই করতে হবে বিচার বিভাগের পরিপূর্ণ স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণের জন্য।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে এখন কোনও ন্যায়বিচারের পরিবেশ নেই। বিচারকরাই যেখানে আতঙ্কিত, সেখানে খালেদা-তারেক বা বিরোধী দলের কারও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নেই। গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, বর্তমানে দেশে নিয়ন্ত্রিত বিচার ব্যবস্থা চলছে। ১৬ কোটি মানুষ আজ অবরুদ্ধ। দেশের মানুষ আজ কারাগারে। একদিনের জন্য একটা ভোটের মহড়া হয়। এই সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিল। এখন এই সরকার একটি অনির্বাচিত ও অবৈধ সরকার। বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ের মাধ্যমে তারেক রহমানের বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এখন রিফিউজিতে পরিণত হয়েছেন। আরেক বিচারপতি, যিনি তারেক রহমানকে খালাস দিয়েছিলেন, তিনি মালয়য়েশিয়ায় পালিয়ে গিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গণতন্ত্র

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ