মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাতার ও পাকিস্তানের একটি কোম্পানির মধ্যে স্বাক্ষরিত এলএনজি টার্মিনাল চুক্তি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা না করার জন্য পাকিস্তানের নতুন পিটিআই সরকারের প্রতি কাতার আহ্বান জানিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রকাশিত হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করা হলে তা হবে চুক্তির খেলাফ এবং তখন কাতার শুধু জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেবে না ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে কোন সম্পর্কও তৈরি হবে না বলে দোহার পক্ষ থেকে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।
এই ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি পাকিস্তান সফর করে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রটি উল্লেখ করে। কাতার সরকারের আশংকা চুক্তিটি পুনর্বিবেচনা করতে পারে সরকার। ২ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে ইতোমধ্যে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
কাতার সরকার চায় কোন পরিবর্তন ছাড়াই পাকিস্তান সরকার চুক্তিটি বাস্তবায়ন করুক। এই সহযোগিতার জন্য সিপিইসি’র মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ইসলামাবাদ সরকারকে দোহা সহযোগিতা করবে বলে সফররত প্রতিনিধি দল নিশ্চয়তা দেয়।
পাকিস্তানে বড় আকারের বিনিয়োগের ইংগিত দিয়েছে কাতার। ২০১৩ সালে তৎকালিন জ্বালানি মন্ত্রী শাহীদ খাকান আব্বাসী কাতার সরকারের সঙ্গে ওই চুক্তি করেন, যা ছিলো পিপিআরএ আইনের পুরোপুরি লঙ্ঘন।
সাধারণ অনুশীল এবং আইন ও বিধান লঙ্ঘন করে এসএসজিসিএল ও এসএনজিপিএল-এর মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দূরে রেখে ইটিপিএল নামক একটি কোম্পানিকে ১৫ বছরের জন্য কাজ দেয়া হয়। এই মেগা দুর্নীতিতে আব্বাসী ছাড়াও আরো কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন বলে সূত্র জানিয়েছে। সে সময় পিটিআই এই চুক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও এনএবি তাতে কান দেয়নি।
সূত্র জনায়, এই ইস্যু নিয়ে ঘাটাঘাটি না করতে বলায় পাকিস্তান সরকার সফররত প্রতিনিধি দলের অন্যান্য প্রস্তাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে।
পাকিস্তানের সাবেক মুসলিম লিগ-নওয়াজ সরকারের সঙ্গে কাতারের সম্পর্ক ছিলো খুবই ঘনিষ্ঠ। শরিফ পরিবারের সঙ্গে কাতারের আমির আল থানি’র পরিবারের সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। কুখ্যাত ‘কাতারের চিঠি’ এই সম্পর্কের প্রতীক হয়ে আছে। পানামা কেলেংকারিতে শরিফ পরিবারের পক্ষে সাফাই গেয়ে ওই চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এতে অনেক বৈপরিত্য থাকায় জয়েন্ট ইনভেস্টিগেশন টিম তা বাতিল করে দেয়।
অনেকে মনে করেন যে থানি পরিবার পাকিস্তানে তাদের লোকদের রক্ষার চেষ্টা করছে। আরেক উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন সাবেক সিনেটর সাইফুর রহমান খান। তিনি ছিলেন শরিফের দ্বিতীয় মেয়াদে ইহতেসাব ব্যুরোর চেয়ারম্যান। মুসলিম লিগের হয়ে সিনেট সদস্য হন তিনি।
বর্তমানে তিনি পরিবার নিয়ে স্বআরোপিত নির্বাসনে কাতারে বসবাস করছেন। গতমাসে শরিফুর রহমানের একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে আমদানি করা কাতারের নম্বরপ্লেটযুক্ত ২০টি গাড়ি উদ্ধার করে কাস্টমস।
কাতার দূতাবাস এগুলোকে তাদের গাড়ি বলে দাবি করলেও কাস্টমস তা বাতিল করে দেয়। কাস্টমস জানায় যে কাতারের দূতাবাস থেকে পাঠানো চিঠিতে গাড়িগুলোর মালিকের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তারা জানায় যে গাড়ি অবৈধভাবে রাখা ছিলো এবং কর্তৃপক্ষ কোন আমদানি ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি।
অবস্থা বিবেচনায় মনে হচ্ছে রাজনৈতিক পরিবারগুলোর সম্পর্কের কাছে কাতার ও পাকিস্তানের সম্পর্ক জিম্মি হয়ে পড়েছে। তবে এখন আরো মনে হচ্ছে, কাতার শুধু নিজের স্বার্থকেই দেখতে বেশি আগ্রহী এবং নওয়াজ শরিফকে তার নিজের ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছে। এখন একটি সুবিবেচনাপূর্ণ কৌশল গ্রহণই পারে কাতারের সঙ্গে টেকসই বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে, যা দুটি মুসলিম দেশকে কাছাকাছি নিয়ে আসবে। সূত্র: সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।