বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই সরকার সংবিধান, গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম বিরোধী নতুন কালা কানুন করছে। সাংবাদিক সমাজ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কালো ধারা ঘৃণা ভরে প্রত্যাখান করছে। এ আইন আমরা মানবো না। কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কালো ধারা বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এ বছেন। এসময় নেতৃবৃন্দ এ কালাকানুন বাতিলের দাবিতে ১১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অবস্থান কর্মসূচীর ঘোষণা দেন।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে মহাসচিব এম. আবদুল্লাহ, ডিইউজের সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজে সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরুল আমিন রোকন, সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, সহকারী মহাসচিব আহমেদ মতিউর রহমান, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। রুহুল আমিন গাজী বলেন, আমরা ধারাবাহিকভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধীতা করে আসছি। তারপরও দেশ ও বিদেশের সকলের মতামতকে উপেক্ষা করে এ আইন কার্যকর করা হচ্ছে। আমরা সাংবাদিক সমাজ এ আইন মানি না, মানবো না। বর্তমানে যারা এ আইনের পক্ষে অবস্থান করছেন তারাও এ আইন থেকে রেহাই পাবেন না। শওকত মাহমুদ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি প্রেসিডেন্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বাক্ষর করেছে। হয়ত কার্যকরও করা হবে। আমরা এ আইনের বিরোদ্ধে শুরু থেকেই বিরোধীতা করে আসছি। দেশবাসীসহ বিশ্বের অনেকেই এ আইনের বিরোধীতা করছে। তারপরও এ আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সাংবাদিক সমাজ এ আইন মানে না, মানবেও না। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এ আইন বাতিল করতে হব্।ে এ আইন বাতিলের দাবিতে আমরা রাজপথে ছিলাম এবং যতদিন বাতিল না হবে ততদিন রাজপথে থাকবো। এম আবদুল্লাহ বলেন, হয়ত ২/১ দিনের মধ্যে এ আইনটি কার্যকর করা হবে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। এ আইনে যারা জড়িত তারা সবাই সংবিধান লঙ্ঘন করে অপরাধ করেছে। আদালতে গেলে তাদের সকলের সর্বোচ্চ সাজা হবে। আগামী সংসদ অধিবেশনে এ আইন বাতিল করুণ। তানাহলে সরকারের করুন পতনের মধ্য দিয়ে এ আইন বাতিল হবে। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমরা এ আইনের বিরোদ্ধে রাজপথে নেমে আন্দোলন করছি। তারপরও অবৈধ সরকার গায়ের জোরে এ আইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।
শহিদুল ইসলাম বলেন, একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন। শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সাংবাদিকসহ সকলের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার জন্য এ আইন বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।