পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে দায়েরকৃত মামলায় ছাত্রলীগ নেতা তরিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বুধবার বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার জামিনের আবেদনটি নাকচ করে দেন। তরিকুলের পক্ষের আইনজীবী এসকে ইউসুফুর রহমান এ তথ্য জানান। জামিন আবেদনের শুনানিতে সরকারপক্ষে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। তুষার কান্তি রায় জানান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কটূক্তি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয় তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে তরিকুলের আইনজীবী বলেন, আমার মক্কেল এফআইআরভুক্ত আসামি নন। তাকে সন্দেহজনকভাবে আসামি করা হয়েছে। তাছাড়া এফআইআর এ কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কী বক্তব্য সেটি উল্লেখ করা হয়নি। এ মামলার এক নম্বর আসামি মো. রাব্বি। তিনি জামিনে আছেন। তরিকুল ইসলাম পাঁচ মাস ধরে কাস্টডিতে আছেন। শুনানিকালে আদালত দেখতে পান আসামির বিরুদ্ধে আরও সাতটি মামলা রয়েছে। পরে তাকে জামিন না দিয়ে আবেদনটি বাতিল করে দেন আদালত।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ ডিসেম্বর আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। এ মামলায় ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মো. রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়। ঝালকাঠি জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু ৬ ডিসেম্বর রাতে ঝালকাঠি থানায় রাব্বিসহ অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা দায়ের করেন। একই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তরিকুল ইসলামকে গত ৯ এপ্রিল গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।