পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বলেছেন যে, পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ার কোন অগ্রগতি হবে না এবং এই সহযোগিতাটা একমাত্র বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণের মধ্য দিয়েই হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ১০ দিনের সফর শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মি কোরেশি বলেন যে, পাকিস্তানের আমেরিকার সাথে ৭০ বছরের পুরনো সম্পর্ক রয়েছে, যেটাকে ‘আফগানিস্তান প্রিজমের’ ভেতর দিয়ে দেখা উচিত হবে না। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজর জন বোল্টনের সাথে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, এটা আশা করাটা ভুল হবে যে, একদিনে দুই দেশের মধ্যকার সব বিভেদ দূর হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কিন্তু আমি এই বার্তাটা পৌঁছাতে পেরেছি যে পাকিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা না হলে আফগান শান্তি প্রক্রিয়ার কোন অগ্রগতি হবে না। আর এই সহযোগিতাটা পেতে হলে, পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখাটা জরুরি। চাপ দেয়া বা দোষারোপের খেলা পরিস্থিতির শুধু অবনতিই করবে, তাতে কোন লাভ হবে না। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগান ইস্যুর গুরুত্বের কথা স্বীকার করেন। কিন্তু তিনি বলেন যে, পাকিস্তানের সাথে আফগানিস্তানকে মিলিয়ে দেখাটা এবং ইসলামাবাদের সাথে ওয়াশিংটনের ৭০ বছরের সম্পর্ককে অস্বীকার করাটা ভুল হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওয়ের সাথে আলোচনায় তিনি এ বিষয়টির উপর জোর দেন এবং পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কাঠামোগত আলোচনা পুনরায় শুরুর আহবান জানান। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও নিজেও তার সংক্ষিপ্ত অফিসিয়াল নোটে পাকিস্তানের সাথে আলোচনা অব্যাহত রাখার করা বলেন। মি. কোরেশি বলেন, নোটে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ইঙ্গিত রয়েছে। গত এক বছরে ওয়াশিংটন যে সব বিবৃতি দিয়ে এসেছে, সেগুলো থেকে এটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, আগের বিবৃতিগুলো ছিল কঠোর কিন্তু বুধবারের নোটটি বন্ধুত্বপূর্ণ। পাক-মার্কিন সম্পর্ক বজায় রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন: “আপনাদের কিছু নির্দিষ্ট প্রত্যাশা ছিল। আমাদেরও কিছু প্রত্যাশা ছিল। এমন সময় গেছে যখন আপনারা হতাশ হয়েছেন। আবার এমন সময় গেছে যখন আমরা হতাশ হয়েছি। কিন্তু এখন সামনে এগিয়ে যাওয়ার সময়”। তিনি বলেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণে চলমান সম্পর্ক নষ্ট করা যায় না কারণ এতে কোন উপকার হবে না। সম্পর্ক বজায় রাখলে উপকার হবে”। মি কোরেশি বলেন, তিনি মার্কিন কর্মকর্তারদের সাথে আফগানিস্তানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনার জন্য কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখন এই কৌশলটি প্রকাশ করার সময় নয়। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।