পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রায় দেড় কোটি টাকা খরচ করে আলিশান বরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত দায়িত্বভার নিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। নগর ভবনের গ্রীণ প্লাজায় ২ হাজার ৬ আসনের বিশাল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রাসিক প্যানেল মেয়র-১ আনোয়ারুল আমিন আযবের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বভার বুঝে নেন তিনি। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে এ আয়োজন করা হয়।
কদিন ধরে রাজসিক এ আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ। দৃষ্টি নন্দন নগরভবনকে আরো দৃষ্টি নন্দন করার জন্য সাজানো হয় বর্নিল সাজে। ঝলমলে আলোর ঝলকানিতে মোহনীয় র”প লাভকরে নগর ভবন। এমনিতে সুন্দর তারপর আরো সুন্দর করে সাজানো হয়। নগরভবন চত্তরের গ্রীণ প্লাজায় বাজানো হয় বিশাল প্যান্ডেল। যাতে আড়াই হাজার মানুষ বসতে আর অনুষ্ঠান অবলোকন করতে পারে সে ব্যবস্থা। আশ্বিনে এসে চৈত্র বৈশাখের গরম আবহাওয়া থাকায় পুরো প্যান্ডেলজুড়ে লাগানো এসি আর ফ্যান। কোন কিছুরই কমতি ছিলনা। গ্রীন প্লাজায় যেন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি অডিটরিয়াম। এসবের জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ঢাকার এক নামী প্রতিষ্ঠানকে। আয়োজকদের লক্ষ্য ছিল অনুষ্ঠানটিকে স্মরণীয় করে রাখার। তা সফল হয়েছে বলা যায়। বিকেলে অভিষেক মঞ্চে নবনির্বাচিত কাউন্সিলর ও বিশিষ্টজনদের নিয়ে আসন নেন খায়র”জ্জামান লিটন। বিপুল করতালির মধ্যদিয়ে দায়িত্ব বুঝে নেন আগামী পাঁচ বছরে নগরীকে ঝকঝকে তকতকে করার। আগামী পাঁচ বছরে নগরীকে বদলে দেবার যে প্রতিশ্র”তি দিয়েছেন তা পূরণের। দায়িত্বভার নেবার পর বক্তব্যে সে কথার পুনরাবৃত্তি করলেন। চাইলেন নগরবাসীর সহযোগিতা। শোনালেন রাজশাহী নগরীর পরিচ্ছন্ন আর দৃষ্টিনন্দন র”প দেখতে এখানে অন্য স্থান হতে বেড়াতে আসবে এমন সব সোনালী স্বপ্নের অনেক কথামালা। সহযোগিতা ও দোয়া চাইলেন সবার কাছে। ফুলেল শুভেচ্ছা অভিসিক্ত হলেন নগরীর ত্রিশ ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত কাউন্সিলরও। তারাও প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন সবাই মিলে রাজশাহী মহানগরীকে তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তোলার। যেখানে থাকবে না মাদকের ছড়াছড়ি, হানাহানি, মারামারি, ভাংচুর রাস্তা, আলোবিহিন পথ। শান্তির নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে এ নগরী। এর আগেও যেমন রাজশাহী মহানগরী বিশ্বে সুখী নগরী হিসাবে খ্যাতি পেয়েছিল। তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার নুর-উর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ অঞ্চলের এমপিবৃন্দ, জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দসহ নগরীর বিশিষ্টজনরা বক্তব্য রাখেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মেয়র পত্মী শাহীন আক্তার রেনী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজারো মানুষ তাদের কথার সাথে সুর মিলিয়ে মন্তব্য করলেন আমরাও এমন প্রত্যাশায় রইলাম। ১৮৬৯ সালে রামপুর বোয়ালিয়া মিউনিসিপ্যালিটি হিসাবে যাত্রা করে ১৮৭৬ সালে পৌরসভা। ১৯৮৭ সালে পৌর কর্পোরেশন আর ১৯৯০ সালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নামধারন করে ১৫৯ বছর ধরে মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। এবারের মত জাকজমকপূর্ণ আয়োজন কখনো হয়নি। অভিষেক অনুষ্ঠান মনে থাকবে বহু সময় ধরে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।