পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব অর্থনীতি আবারও ঝুঁকিতে -এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সরকার ও নীতিনির্ধারকদের ব্যর্থতায় অর্থনীতিতে ধস নামতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি। অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ থেকে বাঁচাতে দরকার সংস্কার। ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ের চেয়ে এখন ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কিছু অংশে অব্যবস্থাপনার কারণে বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে।
আইএমএফ জানায়, বিগত ১০ বছরে ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতে অনেক কিছু করা হয়েছে। কিন্তু ভালোসময়েই যেন ঝুঁকি বাড়ে। যেকোনও নতুন খাতের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির তেরি হতে পারে। বর্তমানের নিম্ন সুদের হার ও অস্থিরতার কারণেই এই ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি জানায়, পর্যবেক্ষকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে।
চীনের তথাকথিত ছায়া-ব্যাংকগুলো থেকে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি ডলার নিয়ে কাজ করা বীমা প্রতিষ্ঠান কিংবা অ্যাসেট ম্যানেজারদের ওপরও কঠোর কোনও নীতিমালা আরোপ করা যায়নি।
২০০৮ সালের ধসের সময় জেপি মরগ্যান ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না এর মতো বেড়ে ওঠা ব্যাংকগুলোও এখন ব্যর্থ হতে পারে। আইএমএফ এর গেøাবাল ফিন্যানসিয়াল স্ট্যাবিলিটি প্রতিবেদনেও অনেকটা একই কথা বলা হয়। তারা জানায়, আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অর্থনৈতিক ধসের বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে না। এ বিষয়ে তারা ট্রাম্প প্রশাসনেরও সমালোচনা করেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন গত মাসে বলেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সঙ্কটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই ঝুঁকির ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা নেতাহীন বিশ্বে বসবাস করি।’
আইএমএফের ত্রিমাবার্ষিক বৈঠকের এক সপ্তাহ আগেই সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টিন লগার্দে বলেন, তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতে বৈশ্বিক ঋণের ব্যাপারে অবগত। এই ঋণের পরিমাণ ১৮২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারের মার্কিন সুদের কারণেও কোণঠাসা। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।