পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সন্ত্রাসী ও চরমপন্থীরা মাথাচাড়া দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। খুলনাঞ্চলের সক্রিয় হচ্ছে অস্ত্রধারীরা। অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করছে। এর অংশ হিসেবে খুলনায় একের পর এর হত্যাকান্ড প্রকাশ্য দিবালোকে লাখ লাখ টাকা ছিনতাই নিত্যাদিনের ঘটনা। আর এসব অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত কিশোর বয়সী তরুণরা।
সূত্রমতে, গত বুধবার খুলনার তেতুলতলায় সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে মিঠুন (১৮) নামে এক তরুণকে। বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও একজন গুরুতর আহত হন। গত সোমবার বিকেলে মোরেলগঞ্জ উপজেলার দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। একই দিন খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার কিসমত ফুলতলা গ্রামে কাটাখালী গেটের পাশে প্রকাশ্য দিবালোকে ৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়েছে। ছিনতাইকারীরা ব্যবসায়ী বিপ্রদাস সাহা (৪০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। ছিনতাইকারীরা ছিল কিশোরী। এর এক মাস আগে একই স্থান থেকে ১৬ লাখ টাকা ছিনতাই হয়। এছাড়া মঙ্গলবার খুলনার শৈলমারী ব্রীজের নিচে গলাকাটা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অস্ত্রধারীরা অজ্ঞাত (৩০) ব্যক্তিকে গলা কেটে বস্তাবন্দি করে উক্ত ব্রীজের নিচে ফেলে রেখে যায়। লাশের বস্তার ভিতর প্রায় ১৫টি লাউ ছিল। যাতে সাধারণ মানুষ লাশ পরিবহনের সময় সন্ত্রাসীদের সন্দেহ করতে না পারে।
অপরদিকে, বৃহত্তর খুলনার চরমপন্থী ও রাজনৈতিক সুবিধায় বেড়ে উঠা সন্ত্রাসীরা অধিকাংশই অশিক্ষিত ও কিশোর বয়সের। কারো কারো অক্ষর জ্ঞানটুকু পর্যন্ত নেই। অথচ এরা ভয়ঙ্কর। দিনে এবং রাত্রে, প্রকাশ্যে বা গোপনে সশস্ত্র অবস্থায় এরা গর্জে ওঠে। এদেরই হাতে এ অঞ্চলের মানুষ বছরের পর বছর জিম্মি। রাজনৈতিক নেতা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী বিভিন্ন পেশাজীবী কেউই নিরাপদ নয় এদের হাতে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দফায় দফায় এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। তবু যেন সুযোগ পেলেই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে প্রকম্পিত করে তোলে জনজীবন। পুলিশ কর্মকর্তাদের মতে তাদের মধ্যে বামপন্থী মতাদর্শ খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন গ্রæপের হয়ে সম্পদ দখল ভাড়াটিয়া খুনি হিসেবে কাজ করে। বাম মতদার্শের বিশ্বাসীরা তাদেরকে খুনি ও সন্ত্রাসী হিসেবে অখ্যায়িত করে।
অপরদিকে সা¤প্রতিক সময়ে র্যাব-পুলিশের সাথে চরমপন্থীদের বন্দুক যুদ্ধে একাধিক জলদস্যু, সন্ত্রাসী ও অবৈধ অস্ত্রধারী নিহত হয়েছে। বৃহত্তর খুলনায় তালিকা ভুক্ত সন্ত্রাসী অস্ত্রধারী এসব কিশোরীর সংখ্যা প্রায় ৬’শ।
অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, উঠতি বয়সী এসব সন্ত্রাসীরা মুলত চরমপন্থী সংগঠনের হাতে তৈরী। যদিও এখন চরমপন্থী সংগঠনের কর্মকান্ড শিথিল। তবে বিভিন্ন কলাকৌশলে এরাই পলিটিক্যাল শেল্টারের সুযোগের অপেক্ষায়।
খুলনা জেলার একজন সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা ইনকিলাবকে বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ইদানিং বেড়েছে। পুলিশ আরো বেশি সতর্ক হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য মাঠ পর্যায়ে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। মানবাধিকার নেতা এ্যাড: কামরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, নির্বাচনের আগে অপরাধ কর্মকান্ড ঘটিয়ে অনেক সন্ত্রাসীরা নিজেদের যোগ্যতা প্রমান করে। নির্বাচনের সময় এরাই ম্যাসেল ম্যান হিসেবে অনেকের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়। তাই বিষয়টি পুলিশকে এখনই খতিয়ে দেখতে হবে। এছাড়া গত দু’মাস র্যাব পুলিশের অভিযানে কিছু সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তথা র্যাবের হুশিয়ারী উচ্চারণের কারণে অনেক রাজনৈতিক নেতা সন্ত্রাসীদের শেল্টার দিতে সাহস পাচ্ছে না। তবে এরই মাঝে কিছু সন্ত্রাসীরা আসন্ন নির্বাচনকে কাজে লাগিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় খুঁজে নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।