চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন: কেমন রোগী ফরয এবং ওয়াজিব নামায বসে পড়তে পারবে?
উঃ যে রোগী রোগ বেড়ে যাওয়া বা অতি দুর্বলতার কারণে দাঁড়িয়ে নামায পড়তে অক্ষম। রোগ যন্ত্রণা বৃদ্ধি পাওয়া কিংবা আরোগ্য লাভে বিলম্ব হওয়ার আশংকা থাকলে এগুলোও অক্ষমতার কারণ হবে। তবে কোনো লোক যদি কোনো রকম দাঁড়াতে সক্ষম হয় তাহলে সে কোথাও হেলান দিয়ে হলেও সোজা হয়ে নামায পড়তে সচেষ্ট হবে।
প্রশ্ন: হেলান দিয়ে নামায আদায়ে সক্ষম রোগী কী শুয়ে নামায পড়তে পারবে?
উঃ না, তাকে কোথাও হেলান দিয়েই নামায পড়তে হবে।
প্রশ্ন: এক রোগী কোনো রকম বসতে পারে। রুকু সিজদাহ করতে পারে না, সে কীভাবে নামায পড়বে?
উঃ সে বসে ইশারায় নামায আদায় করবে। রুকুর চেয়ে সিজদাহর জন্য বেশি মাথা ঝুঁকাবে। রুকু এবং সিজদাহর মধ্যে পার্থক্য বুঝা না গেলে নামায শুদ্ধ হবে না।
প্রশ্ন: রোগী অথবা অন্তঃসত্তা মহিলা যদি কোনো উঁচু জিনিস যেমন, বালিশ, লেপ-তোষক ইত্যাদির ওপর সিজদাহ করে তাহলে তার নামায হবে কি?
উঃ হ্যাঁ, হবে। তবে শর্ত হলো, ওই জিনিসটি জমীনে থাকতে হবে। কারো হাতে ধরে রাখলে চলবে না।
প্রশ্ন: মুসাফিরের জন্যে রেল বা নৌকায় ইশারায় নামাজ পড়া কি জায়েজ?
উঃ রেল, বাস, বিমান বা নৌযানে সফরকারী যদি রুকু সিজদাহ করতে সক্ষম হয় তাহলে ইশারায় নামায পড়লে চলবে না। তদ্রুপ দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সুযোগ থাকাবস্থায় বসে নামায পড়া যাবে না। দাঁড়ানোর সুযোগ না থাকলে বসে পড়া যাবে; তবে পরবর্তীতে ওই নামাযটি আবার আদায় করতে হবে।
প্রশ্ন: শুয়ে নামায পড়ার নিয়ম কি?
উঃ পা খাড়া করে কিবলার দিকে দিয়ে উঁচু কিছুতে মাথা রেখে এমনভাবে শুতে হবে, যাতে কিবলামুখী মনে হয়। এবং ইশারায় রুকু সিজদাহ করবে। আর চিত হয়ে না শুতে না পারলে ডানে কাত হয়ে নামায পড়বে। ডানে কাত হতে অপারগ হলে বামে কাত হবে। তবে সর্ববস্থায় চেহারা কিবলার দিকে রাখার চেষ্টা করতে হবে। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।