Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিটফোর্ড হাসপাতালে লাশ সংরক্ষণের কাজ চলছে বরফ দিয়ে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:২৩ পিএম

রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের চিকিৎসা সোবার মানের করুন দশা। সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্ট নন রোগিরা। ভুক্তভোগিদের অভিযোগ, জরুরী বিভাগে সিরিয়াস রোগী নিয়ে গেলেই তারা ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। এমনকি পেট ব্যাথার রোগীও রাখে না। ওয়ার্ডে ও সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ দেখা গেল অনেক রোগির। পুরনো ঢাকার রায় সাহেব বাজার থেকে লুমানা আক্তার জানান, তার মেয়ে তামিজা ৭ দিন যাবত জ্বরে রোগে আক্রান্ত। কিন্তু ওষুধ সব বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। সিস্টাররা বলেন, সাপ্লাই নাই আমরা কি করব। এ ছাড়া ডাক্তার সকালে একবার আসেন সারাদিন ইন্টার্নী ডাক্তারই রোগি দেখেন। তাও ডেকে ডেকে আনতে হয়। মূলতঃ সিস্টাররাই ডাক্তারের কাজ করেন। অনেক রোগি এই রকম পরিস্থিতি দেখে চলে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
ঢাকার প্রাচীন এই হাসপাতালটির ভিতর-বাহির যে একই রকম তা বোঝা গেল বাহিরের অবস্থা দেখে। হাসপাতালের একমাত্র লাশ সংরক্ষণ মচিুয়ারিটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে মাস তিনেক যাবত। মর্গের কমচারি শ্যামল জানালেন, কেরানীগঞ্জ, দোহারসহ রাজধানীর ৮টি থানা থেকে গড়ে প্রতিদিন লাশ আসে ২ থেকে ৩টি। ফ্রিজে ১২ টি লাশ সংরক্ষণ করা যেত। ফ্রিজটি নষ্ট থাকায় আপাতত বরফ দিয়ে লাশ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। যে কারনে অনেক লাশ পঁচে যাচ্ছে।
এই বিষয়ে হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডাঃ মোহাম্মদ মাকসুদ বলেন, ফ্রিজটি মাস তিনেক যাবত নষ্ট হয়ে আছে। ১০/১২ বার চিঠিও লিখেছি কোন কাজ হচ্ছে না। কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ফ্রিজের কমপ্রেসার নষ্ট হয়ে গেছে। সারতে দেড়-দুই লাখ টাকা লাগবে। টাকা পেলেই ঠিক করা হবে।
হাসপাতালটিতে জরুরী সেবার জন্য ৫টি এ্যাম্বুলেন্স আছে। এর একটি চলছে খুঁড়িযে খুঁড়িয়ে। বাকি৪ টি পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্গের সামনে পড়ে আছে বছরের পর বছর।
স্থানীয় ববসায়ী মোশাররফ হোসেন বলেন, এখানে সেবার মান যুগোপযোগী না হওয়ায় কমতে শুরু করেছে রোগীর সংখ্যা। এক সময় পুরনো ঢাকায় হাসপাতাল বলতে মিটফোর্ড হাসপাতালই ছিল এই এলাকার মানুষের ভরসা। কিন্তু সময়ের সাথে তাল মেলাতে না পেরে হাসপাতালটি ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ