পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের রনাঙ্গনের ‘বীর প্রতীক’ খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ২০০৭ সালে রাজনৈতিক অঙ্গণে তার পথ চলা শুরু। এই অল্প সময়ের মধ্যে তিনি একজন স্পষ্টবাদী রাজনৈতিক নেতা হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে ২০দলীয় জোটের অন্যতম এই নেতার সাথে কথা হয়। দৈনিক ইনকিলাবের সাথে তার এই একান্ত সাক্ষাৎকার নিম্নে তুলে ধরা হলো-
প্রশ্ন : দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থাকে কি ভাবে মূল্যালয়ন করবেন?
উত্তর : বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অতীতে প্রধান দুটি রাজনৈতিকদল যৌথভাবে শাসন কর্ম চালিয়েছে। এরশাদ সাহেবের শাসন আলমে এবং ওয়ান ইলেভেনের পর বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন। আর বর্তমানে ২০দলীয় জোটের প্রধান দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ, সব দলেরই নেতাকর্মীরা নানাভাবে নিপিড়ন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। হত্যা, খুন, গুমসহ চলছে বিভিন্ন নিপিড়ন। লক্ষ লক্ষ মামলা দেয়া হয়েছে এবং এখনও দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীরা বাড়িতে থাকতে পারেন না। কেউ আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন, আর কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এতে সবার মধ্যে একটা উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা বিরাজ করছে।
প্রশ্ন : এ অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় কি?
উত্তর : পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে অবশ্যই গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সাংবিধানিক যে মূলনীতিগুলো আছে তার আলোকে নাগরিকদের অধিকার দিতেই হবে। বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমানে রাজনীতির যে অবস্থা তাতে সংঘাত আর সংঘর্ষের সম্ভাবনায় ভরপুর। এর থেকে উত্তরণের জন্য দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মানুষের ভোটাধিকারকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এর জন্য সাহসী নেতাকর্মীর প্রয়োজন। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। যদি শতাধিক দল থেকে থাকে তাহলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অর্থাৎ বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে এই উদ্বেগজনক অবস্থা থেকে উত্তরণ সম্ভব।
প্রশ্ন : যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া মিলে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য করতে যাচ্ছে। এতে ২০দলীয় জোটের প্রধান দল বিএনপিও যুক্ত হচ্ছে। এই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কি?
উত্তর : জাতীয় ঐক্য এক জিনিস আর ঐক্য প্রক্রিয়া এক জিনিস। জাতীয় ঐক্য হলো জনগণের মতামতের ভিত্তিতে ঐক্য। আর ঐক্য প্রক্রিয়া হলো একটি ক্রিয়া বা কর্ম পদ্ধতি মাত্র। ওই ক্রিয়ার মাধ্যমে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের কাজ চলছে। দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে, তাদের বিভিন্ন মত আছে। এ সব ভিন্নদল ভিন্ন মতের আলোচনার মাধ্যমে ঐক্য হতে হবে। এ বিষয়ে একটু স্পষ্ট করে বলি, গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে নাগরিক সমাবেশটি ২০দলীয় জোটের সঙ্গে জোটবদ্ধ আলোচনা না করেই করা হয়েছে। সেখানে অনেকে বিভিন্ন ভাবে দাওয়াত পেয়ে উপস্থিত হয়েছেন, অনেকে দাওয়াত পেয়েও উপস্থিত হতে পারেননি, অনেকে দাওয়াতই পাননি, এতে কিছুটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গত ২৭ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপর্সনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের যে বৈঠক হয়েছে সেখানে এ বিষয়টি আমি উপস্থাপন করেছি। সেখানে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যে, আমাদের জোটের কোন দল আলাদা ভাবে যোগ দেবে না। ২০দলীয় জোটের প্রতিনিধি হিসেবে বিএনপি জাতীয় ঐক্যে যোগ দেবে। সুতরাং এই জাতীয় ঐক্য সম্পর্কে ২৭ সেপ্টেম্বরের আগে কি আলোচনা হয়েছে, কি ঘটনা ঘটেছে তা আমি এখন আর আলোচনা করবো না। জাতীয় ঐক্যের মূল লক্ষ্য হবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা, একটি নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের মুক্তির লক্ষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন। এসব বিষয়ে যারা একমত পোষন করবে তারই জাতীয় ঐক্যে যোগ দিতে পারবে। জাতীয় ঐক্যের লক্ষ্য হবে মুক্তিযুদ্ধের আদি ও অকৃত্রিম চেতনা বাস্তবায়ন এবং এদেশের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। অর্থাৎ সকল ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্ম যাতে পালন করতে পারে তা নিশ্চিত করা। বাংলাদেশে অতীতে যে সকল শ্রদ্ধাভাজন রাজনৈতিক নেতা আছেন তাদের প্রত্যেকের প্রতি যথাযথ সম্মান করতে হবে, কোন নেতাকে নিয়ে বিতর্ক করা যাবে না। দেশে অনেক রাজনৈতিক দল রয়েছে। সেসব দলের সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব। তবে এসব দলগুলোর মূল্যায়নের জন্য একটি নূন্যতম মাপকাঠি নির্ধারণ করতে হবে। সব মিলিয়ে একটি সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গিকারের মাধ্যমে গঠিত হবে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য।
প্রশ্ন : যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী জামায়াতকে বাদ দিয়ে বিএনপিকে জাতীয় ঐক্যে যেতে হবে এমন শর্ত দিয়েছেন। এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?
উত্তর : আমাদের ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা এলডিপির সভাপতি কর্ণেল (অব:) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম এ বিষয়ে জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘গোশত হালাল আর তার ঝোল হারাম’ এই নীতি বাদ দিতে হবে। আমি উনার সাথে একমত। যে কোন দল বা ব্যক্তি তার মতামত বা বক্তব্য দিতেই পারেন। কে কি বললেন এটা নিয়ে আমি ভাববো না। আমি ২০ দলীয় জোটের বাইরে যাব না। ২০ দলীয় জোটে আছি থাকবো। ঐক্য করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে কোন অনৈক্য চাই না। যারা ঐক্য করতে এসে অনৈক্যের কথা বলেন তাদেরকে স্পষ্ট করে বলতে চাই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য করতে হলে উদার হতে হবে। বড় মন মানসিকতার পরিচয় দিতে হবে। বৃহত্তর ঐক্য করতে গিয়ে নতুন করে কোন বিভাজন কাম্য নয়।
প্রশ্ন : সরকারের মন্ত্রী এমপি অনেকে বলছেন ২০ দলীয় জোটের আন্দোলন করার সক্ষমতা নেই। এ বিষয়ে আপনি কি বলবেন?
উত্তর : সরকারের লোকজন বলবে সরকারের কথা আর আমরা বলবো আমাদের কথা। এটাইতো গণতান্ত্রিক রীতি। তবে সরকারের লোকজন শুধু কথা বলে থেমে থাকে না। তারা আজকে গণতান্ত্রিক রীতি-নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে প্রধান শক্তি বিএনপি, দ্বিতীয় জামায়াতে ইসলামী, তৃতীয় ও চতুর্থ ইত্যাদি অন্যান্যরা। এ ছাড়া কওমী মাদ্রাসা ভিত্তিক ইসলামী যে দলগুলো আছে তাদেরও একটা আলাদা শক্তি আছে। মূলত বিএনপির শক্তির উপর নির্ভর করেই ২০দলীয় জোটের আন্দোলন হবে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যে যার নেইম ভেলু, ফেইস ভেলু , মেধাশক্তি ও কর্মীবল দিয়ে এ আন্দোলকে গতিশীল বা বেগবান করার চেষ্টা করবো। বর্তমানে সরকারের নিপিড়ন নির্যাতনে বিএনপি কিছুটা হলেও বিপর্যস্ত। হামলা মামলা এবং সরকারের কূট চালের কারণে বিএনপি ও জামায়েত সহ অন্যান্য দলের লক্ষ লক্ষ কর্মী আজ ঘরে থাকতে পারে না। ফেরারি জীবন যাপন করছে। তারপরও সাহসীকতা এবং দেশপ্রেমের প্রতিশ্রুতি নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা এ অবস্থার উত্তোরণ ঘটাতে পারবে।
প্রশ্ন : নেতাকর্মীদের মধ্যে সেই প্রতিশ্রুতি আর সাহস কি আপনি দেখতে পাচ্ছেন?
উত্তর : সারাদেশে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড সাহস এবং কমিটমেন্ট আছে বলে আমি মনে করি। আমার সম্ভ্যাব্য নির্বাচনী এলাকার ( চট্টগ্রাম-৫, হাটহাজারী যোগ চসিক ওয়ার্ড নং ১ ও২) মানুষের সংগে নিবির মেলামেশা অথবা ঢাকা মহানগরে তেজগাও,গুলশান-বনানী, উত্তরা, কামরুল ইত্যাদি এলাকার মানুষের সংগে স্বাভাবিক মেলামাশার কারনেই আমি আস্থাশীল হয়ে এ কথা বললাম।
প্রশ্ন : রাজনীতিতে বর্হিবিশ্বের হস্তক্ষেপ কতটুকু দেখছেন? বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতের ভূমিকা কি?
উত্তর : আমাদের দেশের রাজনীতিতে বর্হিবিশ্বের হস্তক্ষেপ দেখেছি ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়। সে সময় ভারতের সুজাতা সিং মহোদয়া (সে সময়ের পররাষ্ট্র সচিব) এসে প্রকাশ্যে আমাদের দেশের নির্বাচনে এক ধরনের ভূমিকা রাখলেন। আসলে বিশ্বায়নের এ যুগে সারা বিশ্ব এখন একে অপরের পরিপূরক। এখন একা একা চলা যায়। সবার সাথে সম্পর্ক রেখেই চলতে হয়। আমাদের দেশের রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন দাতা সংস্থা তাদের স্বার্থে কথা বলে থাকেন। এ ছাড়া অন্যান্য দেশও কথা বলে। আমরা তাদেরকে এ সুযোগ দেই বলেই তারা সেটা পারে। প্রকৃতপক্ষে আমাদের নিজেদের উপর নির্ভর করে আমরা কিভাবে আমাদের উপস্থাপন করবো। বাংলাদেশের মানুষ খুবই আত্মমর্যদাশীল এবং স্বাধীনচেতা। এ বিষয়টি আমাদের নেতা-নেত্রীদের মনে রাখা উচিত। সবার সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে তবে সেটা আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে নয়। প্রতিবেশী দেশ ভারত অতীতে যে ভূমিকা রেখেছে আশা করি এবার সে রকম হবে না। এবার আর তাদের প্রত্যেক্ষ কোন ইনভলবমেন্ট থাকবে না, বলেই মনে করছি।
প্রশ্ন : সরকার বলছে বিএনপি তথা ২০দলীয় জোটের ৭দফা দাবী অযৌক্তিক। এসব দাবি মানা সম্ভব নয়। যদি সরকার দাবি মেনে না নেয় সে ক্ষেত্রে কি হবে? তৃতীয় কোন শক্তির উত্থানের আশংকা কি আছে বলে মনে করেন?
উত্তর : তৃতীয় শক্তি বলতে আমি রাজনৈতিক দলের শক্তিকে বলতে চাই। ২০ দলীয় জোটের আন্দোলনে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস রাখতে চাই। কোন অলিখিত অসাংবিধানিক শক্তিতে আমি বিশ্বাসী নই। আমি সর্ববস্থায় এদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হোক এটাই চাই। আমি চাই রাজনীতিতে যেন গুণগত পরিবর্তন হয়। ‘পরিবর্তনের জন্য রাজনীতি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে কল্যাণ পার্টির যাত্রা শুরু হয়েছিল ৪ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে। আমরা যে জোটে গিয়েছি অতীতে নিবার্চনে গিয়েছি বা যাই নাই সবকিছু সত্বেও, আমাদের লক্ষ্য ও নীতি একই রয়েছে। তাই বাংলাদেশের রাজীতিতে পরিবর্তন আসবে, আসতেই হবে এটা আমার বিশ্বাস। আমার অনুভূতি হচ্ছে, এবারের নির্বাচনে প্রায় সব দলই অংশগ্রহন করবে; তার আগে সর্বাত্মক চেষ্টা হবে পরিবেশটিকে, সকলের জন্যই অনুকুল করতে; অপর ভাষায়, উইন-উইন পরিস্থিতি। আমাদের দলও পরিবেশ পরিস্থিতি জোটের সিদ্ধান্ত বিবেচনার পর, নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। আমাদের দলের অন্তত ১২জন প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিভিন্ন আসনে, দীর্ঘদিন ধরে। তবে আলোচনার পর জোটের আসন ভিত্তিক সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত ভাবে পালনীয়।
প্রশ্ন : আমাকে সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
উত্তর : আপনাকে এবং দৈনিক ইনকিলাবকেও ধন্যবাদ। একই সাথে আপনার মাধ্যমে যে সকল পাঠক এটি পড়বেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। আমার পক্ষথেকে, ৪ অক্টোবর তারিখকে (৪ অক্টোবর জন্মদিন) প্রেক্ষাপটে রেখে, দেশবাসির কাছে দোয়া প্রার্থী। বিশেষত দেশের বরেণ্য আলেম ওলামাগণের নিকট থেকে এবং বাংলাদেশের তরুন সম্প্রদায়ের কাছে ভালোবাসা ও দোয়া প্রার্থনা করি। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।