পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, কোটা সংষ্কার আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যেসব তরুণেরা সম্পৃক্ত ছিল তাদের জন্য সামনের দিনগুলোতে উজ্জল ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির আগেই জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে সফল হবো।
ড. কামাল হোসেনের ৮৩তম জন্মদিন উপলক্ষে গণফোরাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জন্মদিন উপলক্ষে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন দলের নেতা-কর্মীরা। এরপর দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে জন্মদিনের কেক কাটেন ড. কামাল হোসেন। দলের নেতা সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসীন মন্টু দলের সভাপতিকে কেক খাইয়ে দেন। এ সময় গণফোরামের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে মফিজুল ইসলাম খান কামাল, অ্যাডভোকেট এস.এম. আলতাফ হোসেন, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, ড. রেজা কিবরিয়া, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ, অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদ, এম. শফিউর রহমান খান বাচ্চু, রফিকুল ইসলাম পথিক, রওশন ইয়াজদানী, কাজী হাবিব, ফরিদা ইয়াছমীন, মাহমুদ উল্লাহ মধু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকে যে পরিবর্তনের একটা প্রক্রিয়া সবাই চাচ্ছে যে প্রক্রিয়াটা চালু হয়েছে। আমরা আশা করবো আমাদের সেই গঠনমূলক রাজনীতির মধ্য দিয়ে, গঠনমূলক কর্মসূচির ভিত্তিতে যে রাজনীতি দেশে গড়ে উঠছে, তার মধ্য দিয়ে আমাদের এই আকাংখিত পরিবর্তন আমরা আগামীতে আনতে পারবো দেশে।
তিনি বলেন, যে পরিবর্তন সবাই চাচ্ছে সেটা হচ্ছে- কার্যকর গণতন্ত্র। জনগনের অংশ গ্রহন থাকবে সর্বস্তরে এবং আমাদের দলকেও সেভাবে জনগনের মাঝে নিয়ে গিয়ে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় কাজ হবে সাংগঠনিক কাজে নিজেদের নিয়োজিত করা। জেলা-থানা-ইউনিয়ন পর্য়ায়ে জনগনকে সম্পৃক্ত করে সংগঠন শক্তিশালী করা। এই সংগঠনকে যেন দেশের সকল নাগরিকরা তাদের নিজস্ব সংগঠন মনে করে সেভাবে একে গড়ে তুলতে হবে। সদস্য সংগ্রহ বাড়াতে হবে। এটা বাড়াতে হবে এই কারণে যে আমরা মনে করি এই দলটি দেশের জাতীয় দল যেখানে সকল মহলে প্রতিনিধিত্ব করবে। এবারো ভালো ভালো লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। তারা যোগদান করছেন এজন্য যে, আমাদের দল কর্মক্ষম, আমাদের দলের জনপ্রিয়তা বাড়ছে এবং তারা এসে অবদান রাখতে চান। নতুন ও প্রবীন আমরা সবাই মিলে এই দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি যাতে এটি শক্তি সংগঠনের পরিণত হয়। তিনি বলেন, শক্তিশালী সংগঠন ছাড়া অর্থপূর্ণ কাজ করা যাবে না, দেশে পরিবর্তন আনা যাবে না। শক্তিশালী সংগঠনের মধ্য দিয়ে দেশে পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, আমরা টাকার বিনিময়ে রাজনীতি করি না। আমরা ধর্মকে কাজে লাগিয়ে রাজনীতি করি না, আমরা অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি করি জনগনের ওপর ভিত্তি করি। এর ওপর ভিত্তি করে দেশের স্বাধীনতা এসেছে। সেই ঐতিহ্যকে সামনে রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।