পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, যারা জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখছে তারা সংবিধানবিরোধী কাজ করছে। সংবিধানে স্বাধীনতার লক্ষ্য সম্পর্কে বলা আছে, জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। এ মালিকানা থেকে তাদের বঞ্চিত করে সরকার সংবিধানবিরোধী কাজ করছে, স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করছে। কেউ যেন তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। গতকাল স্বাধীনতা দিবসের সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ বলেন।ং
ড. কামাল হোসেন বলেন, জনগণের ঐক্য হলো সব শক্তির ভিত। সে শক্তি থেকে যারা আমাদের বঞ্চিত করতে চায়, তারা জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি চেষ্টা করছে। সংবিধানে ঘোষিত মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে একতাবদ্ধ হলে তবেই ষোলো আনা মুক্তি আসবে।
বঙ্গবন্ধুর শিক্ষার কথা স্মরণ করে ঐক্যফ্রন্ট নেতা বলেন, তিনি সবসময় বলতেন, ঐক্য ধরে রাখতে হবে। তার অসাধারণ নেতৃত্বেই জাতি একতা ধরে রাখতে পেরেছিল। আর জাতির এই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হয়েছে।
ড. কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন সারজীবন। দেশের মানুষকে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছেন। তিনি সব সময় বলেছেন ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই সকল দু:শাসনের অবসান ঘটাবে। দেশ স্বাধীনের পর আমরা তার নেতৃত্বে যে সংবিধান রচনা করেছি তাতে জনগণের অধিকারের বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। সংবিধানে বলা আছে জনগণ ক্ষমতার মালিক। অথচ আজকে জনগণের সকল ক্ষমতা হরণ করা হচ্ছে। এটা সংবিধান বিরোধী কাজ।
আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাকশাল ফিরিয়ে আনতে চাইছে বলে বিএনপি নেতারা যে অভিযোগ করছেন- সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. কামাল বলেন, একনায়কতন্ত্র যেন না আসে সেটাই ঐক্যবদ্ধভাবে সবাইকে প্রতিহত করতে হবে। আমরা তো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংবিধানে বহুদলীয় গণতন্ত্রের কথা লিখেছিলাম।
গণফোরাম সভাপতি বলেন, ষোলো আনা মুক্তি পেতে গেলে আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করতে হবে। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা ও শাসন ব্যবস্থা কার্যকর ও বাস্তবে রূপ দিতে আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই দু:সহ দু:শাসন থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।
জাতীয় স্মৃতি সৌধে গণফোরামের অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মধ্যে ছিলেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আবু সায়ীদ, মেজর জেনারেল (অব.) আমসা আমিন, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।