নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ দলে থাকলেও খেলা হয়নি একটি ম্যাচও। তারপরও দেশে ফেরার ভ্রমণ ঝাক্কি তো ছিলই। দেশে ফিরে কোন বিশ্রাম না নিয়ে ঐ দিনই চলে যান বগুড়ায়। কোন বিশ্রাম ছাড়াই পরের দিন নেমে পড়েন জাতীয় লিগে। এমন পরিস্থিতির মাঝেও খেলেছেন ডাবল সেঞ্চুরির ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আরিফুল হকের সেই ২৩১ রানের অনাবদ্য ইনিংসের কল্যাণেই বগুড়ায় বরিশালের ঘাড়ে ৫০২ রানের বোঝা চাপিয়েছে রংপুর। জবাবে ১ উইকেটে ৯১ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করে বরিশাল।
প্রথম দিন সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন আরিফুল। গতকাল দ্বিতীয় দিনে দলের রান যখন কাটায় কাটায় পাঁচশ তখন আউট হন সোহাগ গাজীর বলে মনির হোসেনকে ক্যাচ দিয়ে। এর আগে সব ধরনের ক্রিকেটে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সাজান ২১টি চার ও ৪টি ছয়ে। এজন্য খেলেন মাত্র ৩২৫ বল। প্রথম শ্রেনীর হলেও ওয়ানডে মেজাজেই ছিল তার ব্যাট। ৭১.০৭ স্ট্রাইক রেট সেই কথাই বলে। অষ্টম ও নবম উইকেটে যথাক্রমে ৬৫ ও ৭৪ রানের জুটিতে তাকে সঙ্গ দেন সোহরাওয়ার্দি শুভ ও মোহাম্মদ সাদ্দাম।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়ছে স্বাগতিক রাজশাহী। তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির পরও প্রথম দিনেই ২১০ রানে শেষ হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন খুলনার ইনিংস। জবাবে ৬ উইকেটে ৪৪৬ রান তুলেছে রাজশাহী। ১ উইকেটে ১১২ রান দিন শুরু করে রাজশাহী। কাল সারাদিন খুলনার বোলারদের সফলতা বলতে মাত্র তিন উইকেট। যার বিনিময়ে আরো ৩২৪ রান যোগ করে জহুরুল ইসলামের দল। আগের দিন ৭৪ রানের অপরাজিত থাকা ওপেনার মিজানুর রহমান আউট হন ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে। তার ১৪৫ বলে করা ১১৫ রানের ইনিংসে ছিল ১৬টি চার ও ২টি ছক্কার মার। তার দেখানে পথেই হাটছেন দলপতি জহুরুল, অপরাজিত আছেন ৯১ রানে। ৪০ রানের অপরাজিত থেকে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন সানজামুল ইসলাম। এর আগে ফরহাদ রেজার করা ৮৩ রানের ইনিংসটিও উল্লেখযোগ্য। হাতে ৪ উইকেট নিয়ে এখনই ২৩৬ রানে এগিয়ে রাজশাহী। ম্যাচ বাঁচাতে তাই বিশেষ কিছুই করে দেখাতে হবে আব্দুর রাজ্জাকের দলকে।
ওদিকে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে দ্বিতীয় দিনেই কোনঠাসা অবস্থায় সিলেট ও চট্টগ্রাম। ফতুল্লায় চট্টগ্রামকে ১৪২ রানে গুটিয়ে বিনা উইকেটে ১৭৬ রান তুলে ফেলেছে ঢাকা। ১০ উইকেট হাতে নিয়ে এখনই তারা এগিয়ে ২৭২ রানে। আর সিলেটে ঢাকা মেট্রোর করা ৪২৬ রানের জবাবে ৬ উইকেটে ১৩২ রান তুলে দিন শেষ করেছে স্বাগতিকরা। ৭২ রানের মধ্যেই তারা আরাফাত সানি ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ঘুর্ণিতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৬০ রানের জুটিতে মান রক্ষা করেন শাহানুর রহমান (৩৪*) ও এনামুল হক জুনিয়র (৩৭*)। চার উইকেট নেন সানি, দুটি আশরাফুল।
এর আগে হাতে এনামুলের ঘুর্ণির তোপেই ৬ উইকেট হাতে নিয়েও গতকাল মাত্র ৯৪ রান যোগ করতে পারে মেট্রো। ইনিংসে একাই ছয় উইকেট নেন এনামুল। ক্যারিয়ারে ৩৩তম বারের মত ৫ বা ততোর্ধো উইকেট নিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার।
আর ফতুল্লায় চট্টগ্রামকে গুটিয়ে দিতে বল হাতে সফল ছিলেন ঢাকার সব বোলারই। তবে বেশি কার্যকর ছিলেন শাহাদাত হোসেন। আগের দিন ২৫ রানের চ্টগ্রাম যে দুটি উইকেট হারায় সেই দুটিই ছিল শাহাদাতের। এদিন আরো দ্রুতই দুটি উইকেট তুলে নিয়ে চট্টগ্রামের শুরুটা নড়বড়ে করে দেন জাতীয় দলের সাবেক এই পেসার। শেষ উইকেটে ৩৪ রান আসে চট্টগ্রামের। জবাবে প্রথম ইনিংসে ফিফটি করা রনি তালুকদারের ব্যাট এবার আরো ধারালো। ১১০ বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন। ৬৬ রানের ইনিংস নিয়ে অপরাজিত আছেন আরেক ওপেনার আব্দুল মাজিদ।
রংপুর-বরিশাল, বগুড়া (১ম স্তর)
রংপুর ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩০০/৫) ১৪৫.২ ওভারে ৫০২ (জাহিদ ৬২, মোসাদ্দেক ৭, মাহমুদুল ৭, নাঈম ৯২, তানবীর ৯, আরিফুল ২৩১, সাজেদুল ৯, ধীমান ২৮, শুভ ৪৫, সাদ্দাম ৬, শুভাশীষ ২*; রাব্বি ২/৯৪, লিঙ্কন ১/৪৬, সালমান ১/২৪, সোহাগ ৩/১৪২, মাহমুদ ০/৪৮, মনির ৩/১২৮, নুরুজ্জামান ০/১৪, আল আমিন ০/১, রাফসান ০/৪)।
বরিশাল ১ম ইনিংস: ৩৪ ওভারে ৯১/১ (শাহরিয়ার ২৪, রাফসান ৫৩*, মাহমুদ ১২*; শুভাশীষ ০/১৫, সাজেদুল ০/২৪, সাদ্দাম ০/১১, মাহমুদুল ১/২৫, তানবীর ০/১৪)।
রাজশাহী-খুলনা, রাজশাহী (১ম স্তর)
খুলনা ১ম ইনিংস: ২১০
রাজশাহী ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ১২২/১) ১১৯ ওভারে ৪৪৬/৬ (শান্ত ৪৬, মিজানুর ১১৫, জুনায়েদ ৪, রেজা ৮৩, জহুরুল ৯১*, সাব্বির ৩৩ ফরহাদ ২৫, সানজামুল ৪০*; আল আমিন ১/৮০, জিয়া ০/২৮, রাজ্জাক ১/১৩৫, সৌম্য ০/৯, মেহেদি ০/৭৪, নাহিদুল ০/৫৪, আফিফ ৩/৫৭, রবি ০/৩)।
সিলেট-ঢাকা মেট্রো, সিলেট (২য় স্তর)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩৩২/৪) ১২২.৪ ওভারে ৪২৬ (সাদমান ১৫৭, সৈকত ৪২, শামসুর ৩৪, মার্শাল ৫০, মেহরাব জুনিয়র ৩৮, আশরাফুল ৫৩, জাবিদ ২, সানি ০, অনিক ২৪, শহিদুল ২, আসিফ ২*; আবু জায়েদ ১/৪৬, খালেদ ০/৬৭, এনামুল জুনিয়র ৬/১৬৫, এবাদত ০/৫৩, শাহানুর ৩/৭৫, কাপালী ০/১৫)।
সিলেট ১ম ইনিংস: ৫৩ ওভারে ১৩২/৬ (সায়েম ১১, শানাজ ১৮, ইমতিয়াজ ১, জাকের ১৯, কাপালী ২, রাজিন ১, শাহানুর ৩৪*, এনামুল জুনিয়র ৩৭*; শহিদুল ০/২৩, অনিক ০/৮, সানি ৪/৪৮, আশরাফুল ২/৩৫)।
ঢাকা-চট্টগ্রাম, ফতুল্লা (২য় স্তর)
ঢাকা : ২৩৮ ও ৪৩ ওভারে ১৭৬/০ (মজিদ ৬৬*, রনি ১০০*; নাঈম ০/৬৭, হাসান ০/৩৩, সাইফ ০/১৯, ইরফান ০/১৭, জুবায়ের ০/৩২)।
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ২৫/২) ৭ ওভারে ১৪২ (সাদিকুর ৩০, শুক্কুর ০, মুমিনুল ০, তাসামুল ১২, মাহিদুল ৪, সাঈদ ২৬, সাইফ ২০, নাঈম ২, হাসান ১৮, জুবায়ের ৯, ইরফান ১৮*; শাহাদাত ৪/৬২, শরিফ ১/২৬, নাজমুল ১/২৬, মোশাররফ ২/২০, শুভাগত ১/৭)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।