নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
প্রায় সোয়া দুই ঘন্টা অপেক্ষার অবসান শেষে এসিসি যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গতকাল বেলা দুইটায় হংকংকে ৫ উইকেটে হারালেও তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল পাকিস্তান ও শ্রীলংকার মধ্যকার ম্যাচের ফলাফলের জন্য। কেননা, এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ওই ম্যাচে পাকিস্তান জিতলে হিসাব হতো রান রেটের। সেখানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। এমন সমীকরণের মধ্যে শ্রীলংকার কাছে ২৩ রানে পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় বাংলাদেশ গ্রুপ পর্বে রানার্সআপ হয়ে সেমিফাইনালে উঠে গেল। এই গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিতে উঠে গেছে লঙ্কানরা। আগামীকাল মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পরদিন একই ভেন্যুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে খেলবে শ্রীলঙ্কা। দুটি ম্যাচই হবে সকাল ৯টায়।
সেমিফাইনাল নিশ্চিতের পর বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় বলেন, ‘হংকংকে ৯১ রানে আটকে দেয়ার পর রান রেটে এগিয়ে থাকার জন্য ৭/৮ ওভারের মধ্যেই ম্যাচটি শেষ করতে চেয়েছিলাম। এ কারণেই শুরুতেই কয়েকটি উইকেটের পতন হয়। তবে আত্মবিশ্বাস ছিল ম্যাচটি আমরাই জিতবো। এই টুর্নামেন্টে আমাদের বোলিং ভালো হলেও ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। সামথ্য অনুযায়ী ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারছে না।’
গতকাল জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে হেরে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত ৪৬.৫ ওভারে ৯১ রানেই গুটিয়ে যায় হংকং। জয়ের জন্য মাত্র ৯২ রানের টার্গেট বাংলাদেশের সামনে। রান রেট বাড়িয়ে নেয়ার পরিকল্পনা থেকে শুরু থেকেই ব্যাট চালিয়ে খেলতে গিয়ে ওপেনিংয়ে নেমে দ্রুতই ফিরে আসেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক তৌহিদ হৃদয় (৫)। দলীয় ১৮ রানে তৌহিদ আউট হওয়ার পর তার পথ ধরেন দলের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন (০)। আর ১২ রান যোগ করতেই ওপেনার তানজিদ (১৫) ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সাজিদ (৪) বিদায় নিলে চাপের মুখে পড়ে স্বাগতিকরা। তবে আকবর আলী ও মাহমুদুল হাসানের দ্রুত গতির ৫৮ রানের জুটি বাংলাদেশ দলকে জয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। জয় থেকে দল যখন মাত্র ৪ রান দূরে তখন অযথাই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন আকবর আলী (২৫)। ফিরতি ক্যাচে আকবর আলীকে ফিরিয়ে দেয়া হাসান খানের পরের বলেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন নতুন ব্যাটসম্যান শরিফুল। দলকে ৫ উইকেটের জয় উপহার দিয়ে ২০ বলে ৪টি বাউন্ডারি ও একটি বিশাল ছক্কায় ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল ইসলাম। হংকং দলের পেসার ৩৯ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন। তবে বল হাতে মাত্র ১১ রানে তিন উইকেট নিয়ে হংকং লাইনআপ ধ্বসিয়ে দেয়ার কারিগড় বাংলাদেশ স্পিনার রিশাদের হাতেই ওঠে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।
এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শ্রীলংকার বিপক্ষে পাকিস্তানী অলরাউন্ডার আরশাদ ইকবাল বল হাতে ৬ উইকেট ও ব্যাট হাতে অপরাজিত ২৬ রান করেও দলকে জেতাতে পারেননি। তার বোলিং তোপের মুখে লংকানরা প্রথমে ব্যাট করে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতেই ২০০ রানে অলআউট হয়ে যায়। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান কেকেভি পেরেরার ব্যাট থেকে। এছাড়াও অধিনায়ক এনডি পেরেরা করেন ৩৩ রান। ২০১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৮ উইকেটে ১৭৭ রান করতে সক্ষম হয়। দলীয় সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন এওয়াইজ জাফর। হারলেও লঙ্কানদের বিপক্ষে অলরাউন্ড পারফর্ম করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন আরশাদ ইকবাল।
এদিকে, ‘এ’ গ্রুপের উত্তাপহীন দুই ম্যাচ হয়েছে সাভারে। যার একটিতে আগেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আফগানিস্তানকে ৫১ রানে হারিয়েছে ভারত আর নিয়ম রক্ষার অপর মাচে আরব আমিরাতকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে নেপাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।