পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বেসিক ব্যাংক ও আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণের জন্য বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনসহ (বিএইচবিএফসি) পাঁচটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানর সঙ্গে চুক্তি করেছে। সরল সুদে এ ঋণের পাঁচ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে সরকার এবং বাকি পাঁচ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে ঋণ গ্রহিতাকে।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের আর্থিক সঙ্কট থাকা সত্তে¡ও ব্যাংকটির পক্ষথেকে ভারপ্রাপ্ত অর্থ সচিব আব্দুল রউফ তালুকদারের কাছে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন বেসিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহম্মদ আউয়াল খান।
বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন ছাড়াও গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণের জন্য অন্য যে চারটি সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে-সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক এবং রূপালী ব্যাংক।
ভারপপ্রাপ্ত অর্থ সচিবকে লেখা বেসিক ব্যাংকের এমডি’র ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে অনলাইন ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক ও ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের মানুষের ব্যাংকিং চাহিদা পূরণ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিশ্বস্ত রক্ষক হিসেবে কাজ করছে বেসিক ব্যাংক। গ্রাহক সেবা ও আর্থিক সামর্থের বিচারে সর্বোত্তম ব্যাংক হওয়ার সুদীর্ঘ ইতিহাসও রয়েছে। এটা শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তফসিলী ব্যাংক। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের গৃহ নির্মাণে সরকার ঋণ দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ব্যাংকটি আগ্রহী। এজন্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সইসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে তারা প্রস্তুত।
তবে বিষয়টি অর্থমন্ত্রণালয়ে বেশ আলোচিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, ঋণ জালিয়াতি, ঋণের অর্থ আদায়ে ব্যর্থতাসহ বেসিক ব্যাংকটির বর্তমানে বড় অঙ্কের মূলধন ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে ইতোমধ্যে সরকার অর্থ যোগান দিয়েছে। এ অবস্থায় সরকারের গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণ কার্যক্রমে ব্যাংকটির অর্থ দেওয়ার আগ্রহ নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তারা এ কাজে সম্পৃক্ত হয়ে হঠাৎ করে যদি গৃহ ঋণ দেওয়া বন্ধ করে দেয় তাহলে চাকরিজীবীরা সমস্যায় পড়বেন। এসব কারণে ব্যাংকটিকে গৃহ নির্মাণ ঋণ বিতরণ কার্যক্রম থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি তিন হাজার ১০৭ কোটি টাকা।
২০১৭-২০১৮ অর্থ বাজেটে নয়টি সরকারি ব্যাংকের মূলধন পুর্নগঠনে এক হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়। কিন্তু বেসিক ব্যাংকের জন্য কোনো অর্থ ছাড় করা হয়নি। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ওই ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি করে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়। টাকার অঙ্কে যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।