পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অক্টোবর (আশ্বিন-কার্তিক) মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুইটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্য থেকে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদেশে অক্টোবর-নভেম্বরে অতীতেও ‘কার্তিকের ভয়াল তুফান’ উপকূলে আঘাত হানার রেকর্ড রয়েছে। এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুপ্রবাহ (বর্ষা) বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে পারে।
চলতি অক্টোবর মাসের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রদানের লক্ষ্যে গতকাল (সোমবার) বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্র ঢাকায় অনুষ্ঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক ও বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন আহমেদ। এতে আবহাওয়া-জলবায়ুর সর্বশেষ তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করা হয়।
এদিকে এবার ভরা বর্ষায় এমনকি বর্ষার শেষেও নিকট অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করে ব্যাপক অনাবৃষ্টির কবলে পড়েছে সমগ্র দেশ। গত সেপ্টেম্বর (ভাদ্র-আশ্বিন) মাসে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের স্বাভাবিক হার ও পরিমানের তুলনায় ৪৩দশমিক ৬ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরআগে আগস্ট (শ্রাবণ-ভাদ্র) মাসে ভরা বর্ষা মৌসুমে সারাদেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত হয় ৩৬দশমিক ৩ শতাংশ কম। এ নিয়ে দেশে পর পর দুই মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ৪০ শতাংশই কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। অবশ্য চলতি অক্টোবর মাসে দেশে সার্বিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে গেল মাসে (ভাদ্র-আশ্বিন) দেশের বিভাগওয়ারি বৃষ্টিপাতের ক্ষেত্রে কিছুটা অসঙ্গতি থাকলেও প্রতিটি বিভাগেই স্বাভাবিকের চেয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে কম। ঢাকা বিভাগে প্রায় ৫০ শতাংশ কম, চট্টগ্রাম বিভাগে ৩৪ শতাংশ কম, সিলেট বিভাগে ৩৩ শতাংশ কম, রাজশাহী বিভাগে ৬০দশমিক৪ শতাংশ কম, খুলনা বিভাগে ৫৫দশমিক৬ শতাংশ কম, বরিশাল বিভাগে ৫৩দশমিক৭ শতাংশ কম, রংপুর বিভাগে ৩৬দশমিক৬ শতাংশ কম, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৪ শতাংশ কম বৃষ্টিপাত হয়েছে।
অথচ দেশে গত মে মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৪দশমিক৩ শতাংশ বেশি এবং এপ্রিল মাসে ৩৬দশমিক৭ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়। যা বর্ষার আগে অতিবৃষ্টি এবং ভরা বর্ষায় দেশে অনাবৃষ্টি ও খরার দহনের আলামতই বহন করছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় বলা হয়, গত সেপ্টেম্বর মাসে পর পর কয়েকটি লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট মৌসুমী নিম্নচাপ ও মৌসুমী গভীর নিম্নচাপ বাংলাদেশের উপকূলে অগ্রসর না হয়ে আরও পশ্চিমে ভারতের দিকে অতিক্রম করে যায়। এরফলে দেশে বৃষ্টিপাতের আবহ তৈরি হয়নি। বরং দুর্বল মৌসুমী বায়ু প্রবাহের কারণে সারাদেশেই বৃষ্টিপাত কমে যায়। এতে করে খুলনা, বরিশাল, ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর বিভাগের বিভিন্ন স্থানে অসময়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) গত মাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৩৭দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সর্বশেষ আবহাওয়া : গরমের দাপট
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্তভাবে শুধু কক্সবাজারে ৪৪ মিলিমিটার, সিলেটে ১৯ মিমি বর্ষণ ছাড়া দেশের আর কোথাও এক ফোঁটা বৃষ্টিপাত হয়নি। অনাবৃষ্টি ও খরতপ্ত আবহাওয়ায় দেশজুড়ে ভ্যাপসা গরমের দাপট আরো বেড়ে গেছে। গতকাল ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩৬দশমিক১ এবং সর্বনিম্ন ২৮দশমিক১ ডিগ্রি সেদশমিক। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৬দশমিক৭ ডিগ্রি সেদশমিক। অধিকাংশ স্থানে তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রিরও ঊর্ধ্বে। এমনকি দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সাথে পাল্লা দিয়ে রাতের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেছে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় গরমে ঘামে ও সেই সাথে বিদ্যুতের যাতনায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে।
আবহাওয়া বিভাগ জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর কম সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।