পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আমার ভোটটা আমি দিতাম চাই। একটা নির্দলীয় সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক এইডাই আমরা চাই।’ অনেটা হাপাতে হাপাতে কথাগুলো বললেন আশিক মিয়া। তিনি বিএনপির একজন সমর্থক। জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলায় তার বাড়ি। উপজেলার একটি হাটে ছোট্ট একটি দোকান ছিল তার। এখন সেটা আর নাই। উপজেলা নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় তাকে এলাকা ছাড়তে হয়েছে। তার নামে সাতটি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এখন তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর থাকেন, রিকশা চালান। গতকাল বিএনপির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় তিনি রিকশা চালিয়ে এসেছেন। ঘামে ভিজে একাকার। কপাল বেয়ে টপ টপ করে ঘাম ঝরছে। কোমড় থেকে গামছাটা খুলে মুখের ঘাম মুছতে যাবে এসময় একজন এসে বলে এই রিকশা যাবে? রিকশাওয়ালার সোজা উত্তর ‘না স্যার, নেতাদের বক্তব্য হুনবাম’। পাশেই গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়েছিলাম। রিকশাওয়ালার এমন জবাব শুনে কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে যাই। তার সঙ্গে কথা বললে সে এ ভাবেই তার কথাগুলো বলে। আশিক মিয়া বলে, স্যার গত ৫বছরে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা যত নির্বাচন অইছে কোনডাতেই আমি আমার ভোট দিতাম পারি নাই। ধান ছড়ার পক্ষে কথা কই এই কারণে আইজ দেশ ছাড়া অইছি। আমরা চাই একটা সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। যাতে আমার ভোটটা আমি দিতাম পারি।
বিএনপির সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় আশিক মিয়ার মতো এমন হাজার হাজার কর্মী এসেছেন যারা গায়েবী মামলার আসামী। গত এক মাসে এ সরকার ভৌতিক বা গয়েবী মামলা করেছে হাজার হাজার। এসব মামলায় প্রায় তিন লাখ নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামীতো আছেই। মামলার খড়গ মাথায় নিয়ে নেতাকর্মীরা গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় যোগ দেন।
প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে দুপুর ১২টার পর থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। বেলা ১টার পর শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, মৎসভবন গোটা এলাকা মিছিলের ব্যানার ও পোস্টারে সয়লাব হয়ে যায়। ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও মিছিল সহকারের হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগদান করেন। ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলাদলসহ সকল অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্মলিত ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে মিছিল সহকারের সমাবেশে যোগদান করে। তাদের সবার কন্ঠে স্লোগান ছিল ‘এই মুহূর্তে দরকার, নির্দলীয় সরকার’। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও স্লোগান ছিল নেতাকর্মীদের কন্ঠে। এবার সমাবেশে প্রচুর বয়স্ক লোকের উপস্থিতি কিছুটা ব্যতিক্রম। নারায়ন গঞ্জের ফতুল্লাহ থেকে এসেছে আমিন উদ্দিন। তার বয়স ৭১ বছর। তিনি শ্রমিক দলের কর্মী। তিনি বলেন, এই সরকারের জলুম নির্যাতন থেকে বাঁচতে আন্দোলন ছাড়া কোন গতি নাই। আন্দোলন করে এ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। আমি এই বৃদ্ধ বয়সেও গাড়ি পুড়ানো মামলার আসামি। বাড়িতে ঘুমাতে পারি না। তাই এখন আর পালিয়ে থাকার সময় নাই। এখন সবাইকে আন্দোলনে যোগ দিতে হবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।