পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চাই একটি পরিবর্তন। এ পরিবর্তন দেশের রাজনীতির। শ্বাসরুদ্ধকর চলমান অবস্থা থেকে মুক্তি চায় আমজনতা। শুধু প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিই নয় শাসক দলেও পরিবর্তনের আকাঙ্খা। বিরোধীরা চায় শাসকদলের পরির্বতন। আর শাসক দলের নেতকর্মীরা চায়, দলের দুর্নীতিবাজ এমপি-মন্ত্রীদের আধিপত্যের পতন। তবে আমজনতার চাহিদা রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন। পরিবর্তনের এই আকাঙ্খায় তাদের সামনে নতুন আশা ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া’।
এ নিয়ে তারা নানাভাবে ব্যাখা করছেন আপন মনে। সরব-নিরব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এই ঐক্য প্রক্রিয়ার চলমান মঞ্চ। তারা চায় ভিন্ন ধারায় নতুন এক ব্যবস্থা। আন্তরিকতা, বিশ্বাস নিয়ে কাজ করলে আমজনতা তাদেরই পাশে থাকবে। তাই ভোট রাজনীতির মাঠেও চলছে নানা হিসাব-নিকাশ।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া চলমান কার্যক্রমে নতুন কিছুর অস্তিত্ব অনুভব করছেন শাসক দলের নেতাকর্মীরাও। গত শুক্রবার জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয় সিলেটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন এবং দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে এ সময় আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী। এই চার নেতার বাইরে কাউকেই সভায় বক্তব্যের সুযোগ দেওয়া হয়নি। অথচ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট-১ আসনের সম্ভাব্য এমপি পদপ্রার্থী অর্থমন্ত্রীর ভাই ও জাতিসংঘের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধ ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তাকে বক্তব্যের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করার পরও বক্তব্যের সুযোগ পাননি তিনি। বিষয়টিতে শাসকদল আওয়ামী লীগ রাজনীতির অভ্যন্তরীণ অনৈক্য ও পারস্পরিক ঘায়েলের একটি নমুনা। বাড়ছে সন্দেহ, অবিশ্বাস, অনৈক্য। ফলে শাসকদলের সাংগঠনিক শক্তিও যথেষ্ট নড়েবড়ে সিলেটে।
এদিকে, গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে বিএনপির মহা-সমাবেশে গভীর নজর ও কৌতুহলী দৃষ্টি ছিল বিএনপি ও আওয়ামী লীগের। এর পরই গোটা দেশে রাজনীতির পরিবেশ কী হতে পারে তা নিয়ে চলছে জোর আলাপ আলোচনা।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতৃবৃন্দ আগামী একাদশ নির্বাচনকে অর্থবহ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিত করা, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, নির্বাচন কমিশন পুর্নগঠন বিষয়ে যে সমস্ত দাবি উখাপন করছেন, সেগুলো আমনজনতা ও বিরোধী রাজনীতিক দলের ভাষার সাথে একাকার হয়ে উঠেছে। এতে করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া দেশের রাজনীতিতে এক আশা জাগানিয়ার মাইলফলক হিসেবে নিজদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে। আমনজনতার চোখ এখন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দিকে। বিপরীতে শাসকদলের নেতাকর্মীরা ব্যস্ত মনোনয়ন যুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।