পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজারের মহেশখালী ও টেকনাফে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ীসহ দুজন নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে মহেশখালীর ছোট মহেশখালী শাপলাঢেবা ও টেকনাফের হ্নীলা দরগাহ গেট এলাকায় এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
মহেশাখালী ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. করিম ওরফে মাত করিম নিহত হয়েছেন। রোববার ভোর ৫টার দিকে ইউনিয়ের শাপলা ঢেবাএলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. করিম শাপলাঢেবা এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যাসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান, এলাকায় চিহ্নিত অপরাধীদের অবস্থান করার খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. করিমের লাশ পাওয়া যায়। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
অপরদিকে, টেকনাফের হ্নীলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ইমরান ওরফে ‘পুতিয়া মিস্ত্রি’ নিহত হয়েছেন। রোববার ভোর সাড়ে ৩টার দিকে হ্নীলা দরগাহ গেট এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক এসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। নিহত ইমরান ওরফে পুতিয়া মিস্ত্রি টেকনাফের হ্নীলার পশ্চিম সিকদারপাড়ার আজিজুল হক মিস্ত্রির ছেলে।
টেকনাফ থানার ওসি রনজিত বড়ুয়া জানান, তালিকাভুক্ত শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী ‘পুতিয়া মিস্ত্রি’ ইয়াবার বড় একটি চালান হস্তান্তর করছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশকে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। পরে ঘটাস্থলে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে লাশটি শীর্ষ ইয়াবা ব্যবসায়ী পুতিয়া মিস্ত্রির বলে শনাক্ত করে স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল থেকে দুটি দেশীয় বন্দুক, একটি বিদেশি পিস্তল, তাজা কার্তুজ ও ৭ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী আলী নূর নিহত হয়েছেন। পুলিশ তার কাছ থেকে ৩শ পিছ ইয়াবা, একটি ওয়ান শুটারগান, এক রাউন্ড গুলি ও দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে। রোববার ভোরে সোনারগাঁও পৌর এলাকার চিলারবাগ গ্রামের বালুর মাঠে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। নিহত আলি নূর উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ী মজলিশ গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, রোববার ভোরে সোনারগাঁও থানা পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আলী নূরকে গ্রেফতারের জন্য সোনারগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক শিকদার চিলারবাগ এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আলী নূর পুলিশের ওপর গুলি ছুড়ে।
এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে আলী নূর নিহত হয়। নিহত মাদক ব্যবসায়ী আলিনুরের বিরুদ্ধে থানায় ১৬টি মাদক ও ৪টি অন্যান্য মামলা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পুলিশ তাকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে একাধিক অভিযান পরিচালনা করে। এমনকি পরে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার তাকে ধরতে ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।