মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
টানা সাত দিন পাহাড়ে আটকে ছিলেন চার বাঙালি পর্যটক। খাবার নেই, জীবন বাঁচাতে বিশুদ্ধ পানীয় পর্যন্ত নেই। চারিদিকে হিমাংকের নীচে তাপমাত্রা। স¤প্রতি ভারতের কাশ্মীরের কোল ঘেঁষে বরফ পাহাড়ের দেশ লাদাখে ঘুরতে গিয়ে বিপদে পড়েছিলেন চার বাঙলাভাষী পর্যটক। সেখানে কয়েক স্তর পুরু বরফে ঢাকা সার্চু এলাকায় আটকে পড়েন তারা। এক সপ্তাহ এভাবে কাটানোর পর অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে বাড়িতে ফিরেন তারা। তবে মন্ত্রী অবধি এ চার পর্যটকের দুদর্শাগ্রস্ত সংকটাপন্ন জীবনের কথা পৌঁছাতে পেরেছিলেন কলকাতার অধিবাসী বিদিতা চট্টোপাধ্যায় নেহা। ফুপাতো ভাই ও বন্ধুদের সঙ্গে লাদাখের শুভ্র বরফ পাহাড় ট্র্যাকিংয়ে গিয়েছিলেন আইটি স্পেশালিস্ট নেহা। লাদাখ পৌঁছেই বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েন তারা। লাদাখের সার্চু এলাকায় একটি দোকানে আটকে পড়েন। টানা ৭ দিন সেখানেই আটকে থাকেন। এদিকে সন্তানের কোনো খোঁজ না পেয়ে নেহার মা কাশ্মীর প্রশাসনকে অবহিত করলেও কোনো সাড়া মেলেনি তখনও। এ মুহূর্তে এ চার পর্যটক কোথায় আছেন সে বিষয়েও কিছু জানেন না বলে জানান তারা। এরই মাঝে বুধবার রাতে নেহার মায়ের ফোন বেজে ওঠে । ওপাশ থেকে ভেসে আসে নেহার কণ্ঠ। নিজেদের অবস্থান জানান নেহা। নেহা জানান, বিপদ থেকে উদ্ধার পেতে বুকে সাহস নিয়ে জীবন বাজি রেখে তিনি মিলিটারি বাইক চালিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে মিলিটারি ক্যাম্পে নেমে আসেন। ফোন করেন বাড়িতে। নেহার মা জানিয়েছেন, মেয়ের ফোন পেতেই পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, খবর পেতেই সেনাকর্তাদের সঙ্গে কথা বলি। এরপরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নেহাদের উদ্ধারে উদ্যোগ নেয়। তিনি জানান, সেনা হেলিকপ্টারে নেহাদের সার্চু থেকে কুলুতে নামিয়ে আনা হয়। আপাতত কুলুতেই আছেন নেহারা। এ খবরে স্বস্তি ফিরেছে নেহার পরিবারে। ঘরে ফিরলেই এক দুঃসহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা পাওয়া যাবে এ চার পর্যটক থেকে। জি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।