পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, কক্সবাজার থেকে মাদকের বদনাম ঘুছাতে হবে। আর এ ব্যাপার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সকলের সমন্বিত সহযোগিতা করা দরকার। তিনি বলেন ১২০ কিঃ মিঃ সৈকত কক্সবাজার ছাড়া পৃথিবীর আর কোথাও নেই। সরকার কক্সবাজার উন্নয়নে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছে। সারাদেশে যে পরিমান বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে থাকে ১০-১৫ বছরের মধ্যে কক্সবাজারের মহেশখালী থেকেই সেই পরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। গতকাল কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির অভিভাবক সমাবেশে তিনিপ্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব বলেন।
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সন্তানদের শুধু পড়ালেখায় চাপ দিলে চলবেনা, তাদের স্বাস্থ্যের প্রতিও নজর দিতে হবে। মা বাবাকে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে। তিনি বলেন, কক্সবাজারের মাদক সারাদেশে ছড়িয়ে গেছে। মাদকের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, ফেসবুক আজ এক নতুন নেশায় পরিনত হয়েছে। কচিকাচা শিক্ষার্থীরাও এই নেশাগ্রস্ত হচ্ছে। তারা পড়া বাদ দিয়ে না ঘুমিয়ে ফেসবুকিং করে। বাচ্চাদের ফেসবুক ব্যবহার করতে দেবেন না। সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে।
শিক্ষকদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ফেল করা ছাত্রদের প্রমোশন দিলে ব্যবস্থা নেবে সরকার। আপনারা অতীতের চেয়ে বেশী সজাগ হউন।
সভাপতির বক্তব্যে একাডেমির মহাপরিচালক শিক্ষাবিদ আলহাজ্ব এম.এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, ফেল করা ছাত্রদের প্রমোশন দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। অভিযোগ অনুসন্ধান করবে দুদক। এ বিষয়ে সরকার কঠোরতার ঘোষণা করেছে। এসব বিষযে সচেতন না হলে বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের কথা উল্লেখ করে তিনি অভিভাবক ও শিক্ষকদের বলেন, কোন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে তাকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দেয়া হবেনা। একইভাবে বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলে পরের শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে পারবেনা। অভিভাবকদের তিনি বলেন, ফেল করা ছাত্ররাই বেশীরভাগ অপরাধে জড়ায়। ছেলে মেয়েদের ব্যাপারে আপনারা আরো সজাগ-সতর্ক হোন। সন্তানদের মোবাইল নিয়ন্ত্রণ করুণ। অন্যথায় বড় ধরণের বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- দৈনিক কালের কন্ঠের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি এডভোকেট তোফায়েল আহমদ, একাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তৈয়ব, আবদুল মালেক কুতুবী, অভিভাবক অধ্যাপক রহমত উলাহ, রামুর কচ্ছপিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, কক্সবাজার মা ও শিশু হাসপাতালের পেরামেডিকস ফাতেমা বেগম । অভিভাবক সমাবেশে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন প্রধান শিক্ষক ছৈয়দ করিম। সিনিয়র শিক্ষক নিজামুল বাহার ও ইমতিয়াজ হাসানের পরিচালনায় সমাবেশে কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ফরিদুল আলম, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার ব্যুরো চীফ শামসুল হক শারেকসহ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন নবম শ্রেণীর ছাত্র তাসবিউল হাসান রাউল। সমাবেশ শেষে স্কুল ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন। স্কুলের শিক্ষার মান, অবকাঠামোগত সৌন্দর্য ও নিয়ম শৃঙ্খলা দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।