পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বারহাট্টা বি এম কলেজের ছাত্রী, বিধবা নারী স্মৃতি আকন্দকে ধর্ষণ করতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হলেন বারহাট্টা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মানিক আজাদ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বারহাট্টা উপজেলা সদরের কলেজ রোডের রহমতউল্লাহ বিধবা কন্যা স্মৃতি আকন্দের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সামাজিক মর্যাদা রক্ষার দাবিতে বরাহাট্টার প্রধান সড়কের গোপালপুর এলাকায় চেয়ারম্যানের ভাড়া করা বাসায় অবস্থান নেয় ঐ নারী। এ খবর চারপাশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা চেয়ারম্যানের বাসার সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদা ইয়াসমিন ও থানার ওসি বদরুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। রাত সাড়ে এগারটার দিকে পুলিশ এসে ঐ নারীকে তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়।
পুলিশ হেফাজতে থাকা বিধবা নারীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান মানিক আজাদ সন্ধ্যায় ফোন করে তাদের বাসায় আসেন। পরে এক পর্যায়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তার আর্ত-চিৎকারে পরিবার ও আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে চেয়ারম্যানকে ধরে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে মানিক আজাদ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। স্মৃতি আকন্দের আরো অভিযোগ, চেয়ারম্যানের লোকজন পরবর্তীতে তাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর চালায়।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফরিদা ইয়াসমিন জানান, বিধাব নারীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাকে পুলিশ হেফাজতে দেয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বারহাট্টা থানার ওসি বদরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় রাতেই স্মৃতি আকন্দ বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মানিক আজাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।