নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশের দেয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে ঝড়ো শুরু করে ভারত। তবে ৩৫ রানে নাজমুল ইসলাম উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর আম্বাতি রাইডুকে ফেরান মাশরাফি। এরপর রহিত-কার্তিকের জুটি যখন বড় হতে চলেছে তখনই রোহিতকে তুলে নেন রুবেল। ভারতের স্কোর এই রিপোর্ট লেখার সময় ১৮ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৫ রান। ব্যাট করছেন কার্তিক (১৭*) ও ধোনি (১*)।
এর আগে ১২০ রানের কি দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি গড়ে বাংলাদেশ। রোহিত শর্মার ভারত তখন প্রচন্ড চাপে। দ্রুত ৫ উইকেট তুলে নিয়ে সেই চাপ বাংলাদেশের ঘাড়ে ফিরিয়ে দিয়েছে ভারত। সেঞ্চুরি পূর্ণ করে ১০৭ রানে ব্যাট করছেন লিটন দাস। তবে শেষটা হয়েছে বিষাদময়। বাকিদের আসা যাওয়ার মিছিলে মাত্র ২২২ রানেই ৩ বল আগেই গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ফাইনালে শিরোপার জন্য ২২৩ রানের লক্ষ্য পেয়েছে ভারত।
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের শিরোপা লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। মাশরাফির সেই ‘চমক’ ছিল ওপেনে মিরাজকে নামানো। কোন সন্দেহ সেই সেই চমকে কাজ জয়েছে। কিন্তু তার পরের চার ব্যাটসম্যানের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
টি-টোয়েন্টি ফরমেটে গত আসরে এই ভারতের কাছে হেরে ট্রফি ছুঁয়ে দেখা হয়নি বাংলাদেশের। তার আগে ২০১২ সালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র ২ রানে হেরে ট্রফিতে চুমু দেয়া হয়নি ম্যাশদের। এবার সেই আক্ষেপ মেটাতে পরীক্ষা চালিয়েছে দল। আজও এসেছে একটি পরিবর্তন। মুমিনুল হকের পরিবর্তে একজন বাঁ হাতি বিশেষজ্ঞ স্পিনারের ঘাটতি পূরণ করতে দলে ফিরেছেন নাজমুল ইসলাম অপু।
এবারের আসরের গ্রুপপর্বে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শুরু করেছিল গতবারের রানার্সআপ বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারতে হয়েছিল মাশরাফির দলকে। সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে পরাজয়ের পর টুর্নামেন্টে টিকে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় টাইগারদের সামনে। আফগানদের সুপার ফোরের ম্যাচে হারিয়ে ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখে মুশফিক-সাকিবরা। এরপর শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে নেমেছে লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
এদিকে, এশিয়া কাপের এবারের আসরে এখন ভারত অপরাজিত। গ্রুপপর্বে পাকিস্তান-হংকংকে হারিয়ে সুপার ফোরে উঠা ভারত হারিয়ে দেয় বাংলাদেশকে। পরে পাকিস্তানকেও উড়িয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ড্র করে।
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত ১১বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। এরমধ্যে দশবারই জয় পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। একবার জিতেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালের আসরে ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়েছিল টাইগাররা। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে এখন পর্যন্ত ৩৪ মুখোমুখিতে ২৮টিতে জয় পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশের জয় ৫টিতে।
বাংলাদেশ একাদশ : মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ মিথুন, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, আম্বাতি রাইডু, কেদার যাদব, মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক, কুলদীপ যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, যুভেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার এবং জাসপ্রিত বুমরাহ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।