পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে রোহিঙ্গা নির্যাতনের নিষ্ক্রিয় দর্শক বলে অভিহিত করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। জাতিসংঘের ৭৩ তম সাধারণ অধিবেশনে দেয়া বক্তৃতায় তিনি আরও বলেন, নির্যাতনের নিরব দর্শকরাই নিপীড়নকারীদের উৎসাহ দিয়েছে। এদিকে, বৈশ্বিক রাজনীতি, জলবায়ু, শরণার্থীসহ অন্য ইস্যুগুলোর সঙ্গে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিষয়েও কথা বলেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আক্রমণের শিকার হয়ে বতর্মানে দুর্দশার মধ্যে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছে রোহিঙ্গারা। তারা এখন বর্বরতার বিচার ও নিরাপত্তা চাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন জাতিসংঘ মহাসচিব। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, আটক মার্কিন খ্রিস্টান ধর্মযাজক অ্যান্ড্রু ব্রানসনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে তুর্কি আদালত। এ সিদ্ধান্ত কোনও রাজনীতিক নেবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে প্রদত্ত এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর একদিন আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, তিনি আশাবাদী ছিলেন যে তুরস্ক এ মাসেই ওই ধর্মযাজককে মুক্তি দেবে। বর্তমানে গৃহবন্দি থাকা ওই যাজককে কেন্দ্র করে তুরস্কের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে মারাত্মক অবনতি ঘটে। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে তুর্কি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই ঘোষণার পর তুর্কি মুদ্রা লিরার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দরপতন ঘটে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন ঘোষণা দেন, ওই যাজককে মুক্তি দিলে তাৎক্ষণিকভাবে লিরার দরপতন ঠেকাতে সক্ষম হবে তুরস্ক। মঙ্গলবার রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরদোগান বলেন, ‘এটা বিচারিক বিষয়। ব্রানসন সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে আটক রয়েছেন। আগামী ১২ অক্টোবর আরেকটি শুনানি রয়েছে। আমরা জানি না, আদালত কী সিদ্ধান্ত দেবেন। এই রায় নিয়ে রাজনীতিকরা কিছু বলবেন না।’ রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের আদালতে অ্যান্ড্রু ব্রানসনের ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রানসন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।