রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের উন্নয়ন কাজের শ্রমিকরা, উৎপাদন কাজে নিয়োগের দাবিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অনির্দিষ্ট কালের অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছে।
গত বুধবার সকাল ৮টা থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা, তাপবিদুৎ কেন্দ্রটির প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি মোড় বাজারে সংবাদ সম্মেলন করে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে আন্দোলনকারী শ্রমিকরা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। আন্দোলনরত শ্রমিকরা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয়ায়, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতর কেউ আসা যাওয়া করতে পারেনি। একমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কোনো প্রকার মটর যানও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতর-বাহির করতে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য আন্দোলনকারী শ্রমিকরা বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটের নির্মাণকালীন উন্নয়ন শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। কিন্তু তৃতীয় ইউনিটের উন্নয়ন কাজ শেষে উৎপাদন কাজে নিয়োগ দেয়ার কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রতি থাকলেও, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চিনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল,তাদেরকে নিয়োগ না দিয়ে বাহির থেকে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া শুরু করলে তারা এই আন্দোলনে নামে। এবং গত এক বছর থেকে তারা উৎপাদন কাজে নিয়োগের জন্য আন্দোলন করে আসছে।
শ্রমিক আন্দোলন পরিচালনাকারী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ বলেন,তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের তৃতীয় ইউনিটে নিয়োগ দেয়ার থাকলেও ,কর্তৃপক্ষ আমাদের নিয়োগ না দিয়ে,বাহির থেকে অদক্ষ ব্যক্তিদের শ্রমিক পদে নিয়োগ দিয়ে নিয়োগ বানিজ্য শুরু করেছে ।
শ্রমিক আন্দোলনকারী কমিটির সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মহোদয় ও উপজেলা প্রশাসক আমাদেরকে নিয়োগ দেয়ার জন্য তাপ বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষকে কয়েক দফা সুপারিশ করলেও তাপবিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেই সুপারিশ গ্রহণ করেনি। তাই এখন আন্দোলন ছাড়া আর কোন উপায় নেই। এ জন্য তারা নিযোগ না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টি কালের জন্য আন্দোলনে নেমেছেন।
এদিকে বড়পুকুরিয়া তাপবিদুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হাকিম এই আন্দোলনকে বহিরাগত আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করে বলেছেন, আন্দোলনকারীরা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো শ্রমিক নয়। অথচ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির কাজের অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো প্রভাব পড়েনি। বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। তবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভেতরে কর্মরত শ্রমিকদের প্রবেশ করতে বাধা প্রধান করলে সেক্ষেত্রে প্রভাব পড়তে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।