পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ার পরে ৯ দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল পর্যন্ত পরিচয় সনাক্ত হয়নি দুই লাশের। লাশ দু’টি বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ দিকে, নিহত দু’জনের পরিচয় জানতে তাদের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশনের আর্কাইভে মেলানো হলেও তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় সনাক্ত হয়নি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে লিখিতভাবে পুলিশকে প্রতিবেদন দেওয়া হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ ছাড়া নিহত দু’জনের পরিচয় পাওয়া না গেলে বেওয়ারিশ হিসেবে তাদেরকে দাফন করা হবে। গতকাল পুলিশ ও মর্গ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার এসআই বুলবুল গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ময়নাতদন্তেরর পরে সনাতন পদ্ধতিতে নিহত দু’জনের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার বিশেষজ্ঞরা আঙুলের ছাপ মিলিয়েছেন। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের দু’জনের পরিচয় সনাক্ত হয়নি। এই তদন্ত কর্মকর্তা আরও জানান, আঙুলের ছাপ না মেলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হলে এ বিষয়ে করণীয় জানানো হবে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ বিভিন্ন উপায়ে নিহত দু’জনের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। আরও কয়েকদিন লাশ দুটি ঢামেক হাসপাতালের মর্গে থাকবে। এর মধ্যে পরিচয় পাওয়া না গেলে আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দুটি দাফন করা হবে। ঢামেক হাসপাতালের মর্গ ইনচার্জ সেকেন্দার আলী দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ‘বুধবার পর্যন্ত কোন আত্মীয়-স্বজন বা অন্য কেউ এসে লাশ দুটির পরিচয় সনাক্ত করেনি। তিনি বলেন, লাশ দুটি বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালের মর্গে থাকলেও এর জিম্মা রয়েছে পুলিশের উপরে। যার কারণে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনে আগামী রবি-সোমবার পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এ সময়ের মধ্যে লাশ দুটির পরিচয় পাওয়া না গেলে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদেরকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৩টার দিকে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমি-সংলগ্ন এলাকায় র্যাব-২ এর একটি টহল দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থায় দু’জনকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ পরে ১৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা থেকে পাঠানো এক মোবাইল এসএমএস বার্তায় বলা হয়েছিল, ‘রাজধানীর রায়েরবাজার এলাকায় র্যাবের সাথে একদল ডাকাতের গুলিবিনিময়কালে দুই ডাকাত নিহত ও দুই র্যাব সদস্য আহত হয়েছেন।’ ঘটনাস্থলে থেকে অস্ত্র, গুলি ও ডাকাতির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয় বলেও এসএমএস বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ১৮ সেপ্টেম্বর র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করা হয়।
লাশ দুটির সুরতহাল সম্পন্ন করেন মোহাম্মদপুর থানার এসআই আনিসুর রহমান। তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, নিহত দুইজনের একজনের বয়স ২৫ ও অন্যজনের বয়স ২৬ বছর। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন- ‘২৫ বছর বয়েসী যুবকের গায়ের রং ফরসা, লম্বা সাড়ে পাঁচ ফুট, চুল কালো লম্বা। চোখ অর্ধেক বোঁজা ও দাঁত দেখা যায়। এছাড়া লাশটির গলার নিচে একটি, পিঠে একটি এবং বুকের পাশে তিনটি করে ছিদ্র ছিল। অন্যদিকে ২৬ বছর বয়সী যুবকের গয়ের রং ফরসা, চুল কালো লম্বা এবং উচ্চতা পাঁচ ফুট সাড়ে ছয় ইঞ্চি। তার লাশের গলার নিচে দুটি, কোমরে একটি, পিঠে তিনটি এবং বুকের ডান পাশে তিনটি করে ছিদ্র ছিল। এ ছাড়া মাথায় রক্তাক্ত জখম ও ছিদ্র ছিল।’
এ বিষয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সিনিয়র এএসপি মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি বর্তমানে পুলিশের তদন্তাধীনে রয়েছে। গতকাল পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোন আপডেট তথ্য র্যাবকে জানানো হয়নি। এ বিষয়ে নতুন কোন তথ্য পাওয়া গেলে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে জানানো হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।