বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে কারাগারে ডিভিশন দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি হবে ১ অক্টোবর। মঙ্গলবার চেম্বার বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী আবেদনটি প্রধান বিচারপতির নেত্বীতাধীন আপিলের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওই দিন ঠিক করে দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। শহীদুলের পক্ষে শরিফ আহমেদ ভূঁইয়া ও তানিম হোসাইন শাওন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় কারাগারে থাকা আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দি সুবিধা দিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। শহীদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। স্বরাষ্ট্র সচিব ও কারা কর্তৃপক্ষের প্রতি দেয়া এ আদেশ স্থগিত চেয়ে ১৬ সেপ্টেম্বর চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন এই আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে চেম্বার বিচারপতি রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল করতে বলেন। সে আদেশ অনুযায়ীই রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে তা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে আদালত তা ১ অক্টোবর শুনানির জন্য রেখে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। এর আগে গত ২৭ আগস্ট শহীদুল আলমকে প্রথম শ্রেণির বন্দি মার্যাদা দিতে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত কারা কর্তৃপক্ষকে কারাবিধি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে বলে। কারা কর্তৃপক্ষ ২৮ আগস্ট তা অনুমোদনের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠায়। এর এক সপ্তাহ পর ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের দীর্ঘসূত্রিতার কারণ উল্লেখ ও প্রথম শ্রেণির বন্দী সুবিধা চেয়ে রিট করেন রেহনুমা আহমেদ। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গত ৫ অগাস্ট রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে দৃক গ্যালারি ও পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা শহীদুলকে। এই আলোকচিত্রী ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সহিংসতা উসকে দিয়েছেন বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পরে ‘উসকানিমূলক ও মিথ্যা অপপ্রচারের অভিযোগে শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এ মামলা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।