পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্য-প্রযুক্তি আইনের মামলায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী ড.শহীদুল আলমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তার জামিন প্রশ্নে রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ফলে তাঁর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপেক্ষর আইনজীবীরা।
আদালতে শহীদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও ব্যারিস্টার জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, জামিন পাওয়ায় শহিদুল আলমের মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না। হাইকোর্ট থেকে বলা হল, যেহেতু উনাকে অনেকদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে, ১০২ দিন হয়ে গেছে এবং রিমান্ডে নেয়ার পরও কোথাও তিনি কখনও স্বীকার করেননি যে এরকম কোনো বক্তব্য তিনি দিয়েছেন; উনাকে জামিন দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শহীদুলের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়ার যে অভিযোগ আনা হয়েছে আর পুলিশ প্রমাণ হিসেবে যা দিয়েছে, সেগুলোর মিল নেই। যেহেতু তিনি এই উপমহাদেশে এমনকি সারা বিশ্বের একজন নামকরা আলোকচিত্রী, এই বিষয়টাও আদালত বিবেচনায় নিয়েছেন। এই মুহুর্তে উনার মুক্তি পেতে বাধা নাই। সরকার যদি আবারও বিরোধিতা করে সেটা পরে দেখা যাবে। শহীদুল আলমের স্ত্রী রেহনুমা আহমেদ বলেন, আমি খুবই খুশি। বাংলাদেশের বিচারালয়ের ওপর আস্থা ফিরে পেয়েছি। এটা হওয়ারই কথা ছিল। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো.আলী জিন্নাহ বলেন, এই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিলে যাবেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু বিচারের দাবিতে রাস্তায় নামে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় শহীদুল আলম আল-জাজিরা টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন। এরপর তাকে আটক করে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। এরপর ৫ অগাস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলা করে তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পাঠায়। ১১সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা শহীদুল আলমের জামিন আবেদন নাকচ করেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আলোকচিত্রী ড. শহীদুল আলমের মুক্তির দাবিতে দেশে ও বিদেশে তার মুক্তির জন্য সভা-সমাবেশ ও বিবৃতি দেন। এরপর ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে ৩ অক্টোবর শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ৭ অক্টোবর হাইকোর্ট শহীদুল আলমের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে। রুলের ওপর হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ গত ১ নভেম্বর মামলাটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন। এরপর শহিদুল আলমের আইনজীবীরা আবেদনটি ওই বেঞ্চে উপস্থাপন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।