পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবশেষে ১০৭ দিন পর মুক্তি পেয়েছেন প্রখ্যাত আলোকচিত্রী শহীদুল আলম। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি কারাগারে ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটের দিকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডি এলাকায় ফেসবুক লাইভ করেন শহীদুল আলম। এছাড়াও তিনি এই আন্দোলনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। পরদিন ৫ আগস্ট শহীদুল আলমকে তার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ৬ আগস্ট তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। আদালতের মাধ্যমে পুলিশ তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান শহীদুল আলম। রোববার সেই জামিন স্থগিতের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। কিন্তু শুনানি শেষে উচ্চ আদালত শহীদুল আলমের জামিন বহাল রাখেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জামিনের যে কাগজ আমাদের কাছে নিয়ে আসা হয়েছিল সেটাতে ঠিকানা ভুল ছিল। পরে সেটা আদালতের মাধ্যমে সংশোধন করে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই তার স্বজনরা পৌঁছে দেন। এরপর যাচাই বাছাই শেষে রাত সাড়ে ৮টায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
শহীদুল আলমের মুক্তির পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, তার (শহীদুল আলম) মুক্তির মধ্য দিয়ে আমার কাছে মনে হয়েছে এখনও দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।