Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সিপিইসি নিয়ে কায়রোয় পাকিস্তান

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পাকিস্তান, মিসর, চীন ও ইউরোপের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সিনিয়র সরকারী ও প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও প্রধান বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রধান, ব্যবসায়ী ও আঞ্চলিক প্রধান, বিনিয়োগকারী, নীতি নির্ধারক এবং মতামত প্রণেতারা কায়রোতে জড়ো হয়েছেন। ২০১৩ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে ট্রিলিয়ন ডলারের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ শুরু করেন, সেটি এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি)’র অধীনে কীভাবে অংশীদারিত্ব এবং অর্জনের পরিমাণ আরও বাড়ানো যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেখানে। কায়রোতে চার দিনের যে সিপিইসি-বিআরআই সংলাপ ও বাণিজ্য সম্মেলন হচ্ছে, সেটির ধারণা দিয়েছে ইসলামাবাদ-ভিত্তিক সাউথ এশিয়ান স্ট্র্যাটেজিক স্ট্যাবিলিটি ইন্সটিটিউট (এসএএসএসআই)। আশা করা হচ্ছে এই সম্মেলন এশিয়া, মধ্য এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে ভবিষ্যতে আলোচনা অব্যাহত রাখা এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির ব্যাপারে ভূমিকা রাখবে। সুয়েজ খাল দিয়ে যে ঐতিহাসিক পানিপথ রয়েছে, সেটার সাথে গোয়াদর বন্দর নিয়ে নতুন বাজারের সাথে যুক্ত হওয়ার যে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, সিল্ক রোড ইকোনমিক বেল্ট (এসআরইবি) এবং টুয়েন্টি ফার্স্ট সেঞ্চুরি ম্যারিটাইম সিল্ক রোডের (এমএসআর) মধ্য দিয়ে সেই সম্ভাবনা আরও প্রসারিত হবে।
বহু মাসের পরিকল্পনার পর, কায়রো সম্মেলন এখনকার চেয়ে উপযুক্ত অন্য কোন সময়ে হতে পারতো না, যখন পাকিস্তান দাবি করছে যে, তারা সিপিইসি প্রকল্পে সউদী আরবকে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং এ ব্যাপারে চীনের সম্মতিও রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে মিসরের সাথে কথা বলা যাতে এটা সুয়েজ খাল দিয়ে ইউরোপের দ্বারপ্রান্তে পৌছাতে পারে - এটাকে কি অতিরিক্ত উচ্চাকাক্সক্ষী এবং অতি তাড়াহুড়া বলা যায়?
অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ও সাবেক সেনা কমান্ডার আসিফ ইয়াসিন মালিক দ্য নিউজকে বলেন, তিনি মনে করেন, আগাম পরিকল্পনা করতে পারলে সেখান থেকে সুফল পাওয়া যায়। “আমরা একটা বিবর্তনশীল সময়ে বাস করছি এবং বৈশ্বিক ভূ-রাজনীতি একটা পরিবর্তনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র নিজের উপর আরোপিত নিঃসঙ্গতার মধ্যে অবস্থান করছে। আফ্রিকায় চীনের শক্ত অবস্থান রয়েছে, যে এলাকাকে পশ্চিমারা অবজ্ঞা করে এসেছে। তাই সিপিইসি’র বীজ এখানে আগে থেকেই রয়েছে”। মিসর, পাকিস্তান, চীন ও আমন্ত্রিত অন্যান্য দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের আলোচনার সীমানা শুধু বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আঞ্চলিক সংযোগ, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য সহযোগিতা, সন্ত্রাস দমন, হাইব্রিড নিরাপত্তা হুমকি মোকাবেলা, নৌ নিরাপত্তা, অভিবাসন ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়েও এই সম্মেলনে আগত প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হবে। সূত্র : এসএএম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ