পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’ এগিয়ে নিতে একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করেছেন অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। দুই জোটের শরিক দলগুলোর ৭ জন নেতাকে নিয়ে গঠিত এই কমিটি যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়নসহ সাংগঠনিক বিষয়াদি দেখভাল করবেন। গতকাল সন্ধ্যায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে অনুষ্ঠিত যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শীর্ষনেতাদের যৌথসভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। তবে এতে নেতৃত্ব দেবেন বি চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যৌথভাবে।
যাদের নিয়ে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা হলেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্যসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন এবং নাগরিক ঐক্যের ডা. জাহিদুল ইসলাম। বৈঠকে যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ঘোষিত ৫ দফা দাবি এবং আর ৯ দফা লক্ষ্য বাস্তবায়নে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য’কে এগিয়ে নিতে জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বলা হয়। এ ছাড়া বিএনপির সঙ্গে কিছু মৌলিক বিষয়ে ঐক্যের উদ্যোক্তাদের বোঝাপড়া চূড়ান্ত করা এবং আগামী দিনের কর্মসূচিতে তাদের কীভাবে যুক্ত করা যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত হয়, এ ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে আবারো বৈঠকে হবে। এ জন্য গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ডা. জাহিদুর রহমান, বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কেন্দ্রীয় নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহম্মেদ, গণফোরামের শফিকউল্লাহ, মোসতাক হোসেন।
সূত্র জানায়, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ব্যানারেই আপাতত পথ চলবে যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। বিএনপির সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতার পর আরও কিছু বাম-প্রগতিশীল ঘরানার দল সরাসরি যুক্ত হবে এই ঐক্যে। যার সূচনা হয় গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত নাগরিক সমাবেশের ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারবিরোধী দলগুলোর বৃহত্তর ঐক্যের আনুষ্ঠানিক যাত্রা এদিন থেকে শুরু হলেও এর চূড়ান্ত রূপ নেবে বিএনপির সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনার পর। বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া- এই তিন পক্ষের মধ্যে বৈঠকের পর চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। জানতে চাইলে গণস্বাস্থ্যের ট্রাষ্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যৌথভাবে ইতিমধ্যে ৫ দফা দাবি এবং ৯ দফা লক্ষ্য ঘোষণা করেছে। বিএনপির পক্ষ থেকেও বেশকিছু দাবিদাওয়া তুলে ধরা হয়েছে। বেশিরভাগ ইস্যুতেই ৩ পক্ষ একমত। তবুও আরও আলাপ-আলোচনা হবে। ৩ পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হলে একটি অভিন্ন দাবিদাওয়া দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করা হবে। যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার দাবি মেনে নিয়ে জামায়াতকে বাইরে রেখেই জোট হবে। এ প্রসঙ্গে জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন বলেন, বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের যাত্রা শুরু হলেও এর কোনো সাংগঠনিক কাঠামো এখনো দাঁড় হয়নি। ঐক্যবদ্ধভাবে পথ চলতে হলে একটি সাংগঠনিক কাঠামো প্রয়োজন। এছাড়াও কর্মসূচি প্রণয়ন, সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করাসহ নানা কাজেই এটি দরকার। বৈঠকে আমরা প্রথমে এ কাজটি করেছি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।