Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশ হয়ে পানিপথ করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা ভারতের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮ রাজ্যে পানিপথ করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকার। এ করিডোর নির্মাণে তাদের খরচ হবে ৫০০০ কোটি রুপি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে ৮টি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগবে।
খবরে বলা হয়, এই পানিপথ করিডোরের দৈর্ঘ্য হবে ৯০০ কিলোমিটার। এই পথ ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে ফ্রেইট পাঠানো হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। এই পানিপথ শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে মিশবে। তারপর ওই পানিপথ ব্রহ্মপুত্র হয়ে যুক্ত হবে আসামের সঙ্গে। শিপিং সেক্রেটারি গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, এই প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে তা ভারতের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সংযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। আর ফ্রেইট পরিবহনেও খরচ কমে যাবে অনেক বেশি।
বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখন্ডের মহাসড়কের যোগাযোগ একেবারে অনুপযোগী। তা ছাড়া সড়কের কারণে পণ্য পরিবহনে খরচ অনেক বেশি পড়ে। সময়ও লাগে অনেক বেশি। মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, আলোচিত পানিপথ বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগ।
এরই মধ্যে হলদিয়া ও এলাহাবাদের মধ্যে গঙ্গা নদীতে সরকার একটি পানিপথ উন্নয়নে কাজ করছে। এর দৈর্ঘ্য ১৬২০ কিলোমিটার। খরচ পড়ছে ৪৫০০ কোটি রুপি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যেও ব্যবহার করা হবে এই পানিপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে ৪০৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত। এর মধ্যে ১১১৬ কিলোমিটার নদীবিধৌত। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, বাংলাদেশ শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কলম্বো অথবা সিঙ্গাপুরের পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। কলম্বোতে আমাদের কন্টেইনার চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কারণ, এখন এসব কাজ আমাদের বন্দরগুলোতেই হচ্ছে।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয় বিদেশী জাহাজগুলোকে ভারতের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুুর ও কলম্বোকে যাতে তারা কার্গো চলাচলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে দেখা না হয় সেই চেষ্টা নেয়া হয়েছে। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে দুটি বন্দর উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত, যাতে তা ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সূত্র : অনলাইন ইকোনমিক টাইমস।



 

Show all comments
  • ডঃ এম, এম, আদেল ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:৪৪ এএম says : 0
    ভারত বাংলাদেশের পদ্মাকে শুকায়ে মেরেছে। সেদেশ হুগলী নদীর সব উপনদীতে ও উপনদীর উপনদীতে বাঁধ নির্মাণ করে হুগলীকে শুকায়ে মারে প্রথমে। হুগলীতে যখন প্রবাহ কমে গেল তখন আর কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বজায় রাখা যায় নি। তখন কলকাতা বন্দরের ড্রেজিং না করে ভারত তান ধরে কলকাতা বন্দরের নাব্যতার জন্য বাংলাদেশের পদ্মার পানির প্রয়োজন। খনন হলো ফিডার ক্যানেল। সারা বছর ফিডার ক্যানেলে পানি কানায় কানায় ভর্তি থাকে। যখন রাজশাহীর পদ্মায় ধূলিঝড় উঠে তখনও। সেখানে একটা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রও স্থাপন করা হয়েছে। দাবী করা হয়েছে যে গঙ্গা এখন তার পুরাতন গতিপথে চলে। ঘোষণা করা হলো যে হলদিয়া ঘাট থেকে এলাহাবাদ পর্যন্ত হুগলী-গঙ্গা বক্ষের জলপথ ভারতের ১ নং জাতীয় জণপথ। আজ ভাতর তান ধরেছে এই জলপথ ব্যবহার করে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ নদীপথ হয়ে ভারত তার র্পূর্বাঞ্চলীয় রাষ্ট্রসমূহে মালামাল সরবরাহ করবে। বাংলাদেশের চতুর্দিকে বাঁধের মেখলা তৈরী করে ভারত শুকনা মৌসুমে পানি না দিয়ে মারছে আর বন্যার সময় বদহজমের পানি ছেড়ে দিয়ে পানিতে মারছে। ভারত এত বড়াই করে থাকে মহাশূণ্য বিজয়ের জন্য। অনেক কিছুই তাদের সাধ্যের মধ্যে। ভারত স্বদেশ উন্নিতর জন্য তার পশ্চিমাংশ-পূর্বাংশ সংযোগকারী বোতলের গলার অংশ উন্নয়ন করে না কেন। হঠাৎ করে বাংলাদেশের মজা নদীপথের দিকে নযর কেন? মমতাদি সর্বপ্রথম ভোটে জিতে বোতলের গলার অংশে দৌড় দিয়ে ছিলেন। কারণ, সেখানে উত্তর বঙ্গ আন্দোলন দানা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে। আজ মমতাদি সোচ্চার হয় না কেন যে দিল্লি বাংলাদেশের জলপথোর উন্নয়ন বাদ দিয়ে বোতলের ঘাড়ের উন্নতি করুক। রাস্তা-ঘাট তৈরী তৈরী করুুক, লোকজনের কর্মসংস্থান হবে, আর্থিক উন্নতি হবে, ইত্যাদি, ইত্যাদি। মমতাদি নির্বাক কারণ দেশের স্বার্থে ভারতে রাজনীতিকদের বেলায় বার্ডস আব দি ছেম ফেদার ফ্লক টুগেদার কাজ করে থাকে। ভারত বসতে পেলে শোবার স্থানও করতে পারে। বাংলাদেশে নিজেদেরই স্থান সংকুলান হয় না। স্থলপথে হরহামেশা দুর্ঘটনা ঘটে থাকছে। কত জীবন অকালে ঝরে যাচ্ছে। তার উপর ভারতকে দেশের স্থলপথ ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আভ্যন্তরীণ নদীপথসমূহে নাব্যতা থাকলে সড়কপথে এত চাপ পড়তো না্। দুর্ঘটনা কম ঘটতো। স্থান সংকুলান জলপথেও হয়ে থাকে না। এপথও দুর্ঘটনাভর্তি। সেখানে আবার ভারতকে স্থান করে দিতে হবে। সরকার কি নিজের দেশের জন্য্ চিন্তা করবেন?
    Total Reply(1) Reply
    • Nannu chowhan ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ২:০২ পিএম says : 4
      You are absolutely right,thanks

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ