নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এবারের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে দুবারের দেখায় দুবারই অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান। চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের বিপক্ষে গ্রæপ পর্বে হেরেছে ৮ উইকেটে। সুপার ফোরে হারের ব্যবধানটা আরো বড়, ৯ উইকেটের। যেটি আবার ভারতের সঙ্গে উইকেটের দিক থেকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় হার। পাকিস্তান কোচ মিকি আর্থার মনে করছেন, তার দল এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভুগছে। দুবাইয়ে গতপরশু রাতে ৯ উইকেটে হারের পর আর্থার বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এই মুহূর্তে তারা (সরফরাজ-আমিররা) কিছুটা আত্মবিশ্বাসের সংকটে ভুগছে। ব্যর্থতার ভয় ঢুকে গেছে ড্রেসিংরুমে। বাস্তবতা পরীক্ষা করে দেখতে হবে, ক্রিকেট দল হিসেবে আমরা কোথায় আছি।’
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৭ উইকেট হারিয়ে করেছিল ২৩৭ রান। শিখর ধাওয়ান (১১৪) ও রোহিত শর্মার (১১১*) সেঞ্চুরিতে ভারত সেটি পেরিয়ে যায় ৬৩ বল বাকি থাকতেই। এমন হার নিয়ে পাকিস্তান কোচের মন্তব্য, ‘ভারতের বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে। আমরা যদি তাদের এক ইঞ্চিও ছাড় দিই, আমাদের এর মূল্য দিতে হবে এবং তারা সেটাই করেছে।’
টুর্নামেন্টে ফিল্ডিংটা খুব বাজে হচ্ছে পাকিস্তানের।আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা ক্যাচ ফেলেছিলেন পাঁচটি। ভারতের বিপক্ষেও দুবার রোহিত শর্মার ক্যাচ ফেলেছে তারা। ষষ্ঠ ওভারে শাহিন আফ্রিদির বলে ইমাম উল হক ও ২৮তম ওভারে শাদাব খানের বলে ফখর জামান ক্যাচ ফেলেন। সমস্যা অবশ্য শুধু ফিল্ডিংয়েই নয়। কোচ বলছেন, ‘ব্যাটিংয়ে স্ট্রাইক রোটেট করাটা আমাদের যথেষ্ট ভালো ছিল না। বোলিংয়ে এই ছেলেদের বিপক্ষে আমাদের দ্রুত উইকেট ফেলা দরকার ছিল। আমরা বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। আপনি যখন উইকেটে তাদের সুযোগ দেবেন, তারা আধিপত্য দেখাবেই।’
পাকিস্তান সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আগামীকাল খেলবে বাংলাদেশের বিপক্ষে। ম্যাচটা এখন টুর্নামেন্টের অলিখিত সেমিফাইনাল হয়ে গেছে। পাকিস্তান হারলে ফাইনাল খেলবে ভারত ও বাংলাদেশ। আর্থারের বিশ্বাস, তার দল ঘুরে দাঁড়াবে, ‘এটি এখন সেমিফাইনাল। এই মুহূর্তে গর্ত থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে আমাদের। আমরা এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াবো। বাঁচা-মরার ম্যাচে অবশ্যই আমাদের সেরাটা দিতে হবে। ছেলেদের ওপর আমার বিশ্বাস আছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।