নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রশিদ খানকে এই এশিয়া কাপে ‘বিশ্বসেরা’ তকমা দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমদ। তার ঘূর্ণির জাদুতে কুপোকাত বাঘা বাঘা সব ব্যাটসম্যানরাও। এক ম্যাচ আগে নিজেও হয়েছিলেন তার গুগলির শিকার। কিন্তু পরের ম্যাচেই ভোজভাজির মত পাল্টে গেছে পাশার দান। ব্যাট হাতেই সেই রশিদ জাদুর খোলস উন্মোচন করলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। জানালেন, ‘রশিদকে খেলা যায় না এমন নয়’।
হারলেই বাদ- এমন সমীকরণের মুখে গতপরশু আবু ধাবির শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে ৮৭ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এই ভীষণ চাপের মধ্যে ইমরুল কায়েসকে সঙ্গে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ১২৮ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ার পথে ফিফটি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার ৮১ বলে ৭৪ আর ইমরুলের ৮৯ বলে ৭২* রানের ইনিংস দুটি বাংলাদেশের আড়াই শ’ ছুঁই ছুঁই স্কোরের ‘নিউক্লিয়াস’। রশিদের ঘূর্ণিজালকে যেভাবে সামলেছেন, সেটি মাহমুদউল্লাহর ইনিংসে সবচেয়ে দর্শনীয় দিক। ইমরুলও ভালোই সামলেছেন আইসিসি ওডিআই র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় এই লেগ স্পিনারকে।
নিজেদের ইনিংসের শুরুর দিকে তারা রশিদের ওপর চড়াও হননি। স্বাভাবিক ব্যাটিং করেছেন। অদল-বদল করেছেন স্ট্রাইক। তাতে রশিদ যেমন আর উইকেট পাননি, তেমনি ঘুরেছে রানের চাকাও। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানান, রশিদকে খেলার ব্যাপারে তাঁদের পরিকল্পনার কথা। ‘খুব বেশি অনুশীলন করিনি (রশিদের বৈচিত্র্য নিয়ে)। চার দিনের ব্যবধানে তিনটি ম্যাচ খেললাম, তাই হাতে সময় ছিল না। মাথা থেকে সবকিছু ঝেড়ে ফেলে তাকে খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা জানি, উইকেট নেওয়ায় সে বিশ্বের অন্যতম সেরা। কিন্তু তাঁকে খেলা যায় না, এমন নয়।’
গতপরশু সুপার ফোরের ম্যাচে ১০ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন রশিদ। আর গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৯ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। রশিদকে এদিন বাংলাদেশ কত ভালো খেলেছে তা ‘ডট’ বলের হিসেবে পরিষ্কার। আগের ম্যাচে রশিদের ৪৪টি ডেলিভারি ‘ডট’ দিয়েছিল বাংলাদেশ। আর এদিন ‘ডট’সংখ্যা ছিল ৩৪। মাহমুদউল্লাহ-ইমরুলের উইকেট না দেওয়ার মানসিকতা আর শুরুতে সিঙ্গেলস নিয়ে খেলার জন্যই যে রশিদকে নিষ্ক্রিয় রাখা গেছে, তা বলাই বাহুল্য। আবার শেষ দিকে এসে দুটি ছক্কাও হজম করতে হয়েছে রশিদকে। সেই দুটি ছক্কাই মাহমুদউল্লাহর। রশিদের গুগলিকে স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে সীমানাছাড়া করেন তিনি। অথচ আগের ম্যাচে এই রশিদের বিপক্ষেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানেরা রীতিমতো খাবি খেয়েছেন। কিন্তু এই ম্যাচে তাঁকে সহজেই খেলার ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহর উক্তি, ‘আমরা যেভাবে খেলতে (আগের ম্যাচে) চেয়েছি সেভাবে হয়তো পারিনি। আমাদের পরিকল্পনা ছিল রশিদকে উইকেট না দেওয়া। উইকেটে থিতু হয়ে শেষ পর্যন্ত থাকতে চেয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।