পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ ১২দিনেও ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেয়া ৫ শিক্ষার্থীর কোন হদিস নেই। তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং কি অপরাধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না তাদের পরিবারের সদস্যরা। অথচ তাদের সন্ধ্যানে ডিবিসহ প্রশাসনের সব জায়গায় ঘুরছেন নিখোঁজ ৫ শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।
শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, তাদের সন্তানরা নির্দোষ। আর যদি তাদের কোন অপরাধ থেকেই থাকে তবে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হউক। আর এভাবে আটকে রাখার বিষয়টি আইনের লংঘন। পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করছেন, যারা ওই শিক্ষার্থীদেরকে গাড়িতে তুলে নিয়ে গেছে তারা নিজেদেরকে ডিবি পুলিশ বলেই পরিচয় দিয়েছে। বিমান বন্দর এলাকার সিসি ক্যামেরার ছবি দেখলেই বোঝা যাবে তারা কারা। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের মধ্যে নবম শ্রেনীতে পড়–য়া একজনও রয়েছে।
ডেমরার সারুলিয়া এলাকার পশ্চিম ডগাইরের সাইদুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসাইন মা’য়াজ। মা’য়াজ নবম শ্রেনীর ছাত্র। তার বোন কামরুন নাহার গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আমার ভাইয়ের অপরাধ কি আমরা এখনও তা জানি না। ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন দফতরে ঘুরেও আমরা কোন সাহায্য পাচ্ছি না। আমাদের কথা শুনার মত এখন আর কেউ নেই। আমরা এখন খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমার ভাইসহ যে ৫জন নিখোঁজ রয়েছে তারা যদি কোন অপরাধ করে তবে, তাদের আইনের মাধ্যমে বিচার করা হউক। তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে এবং কি অপরাধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে না কেউ। অথচ লোকজন বলছে তারা ডিবিতেই আছে। আমরা অসহায় অবস্থায় রয়েছি। আমাদের কান্না শুনার মত কেউ নেই বলে কান্না জড়িত কণ্ঠে কামরুন নাহার অভিযোগ করেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, ডিবিতে কাউকে আটক রাখা হয়নি। নিখোঁজ ৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ আপন দু’ভাই শাফিউল আলম ও মনিরুল আলমের মা রমিছা খানম বলেন, সাদা পোশাকদারী (ডিবি) পুলিশ গত ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে আমাদের ৫ সন্তান শাফিউল আলম, মনিরুল আলম, আবুল হায়াত, সফিউল্লাহ ও মোশারফ হোসাইন মায়াজকে তুলে নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ওইদিন পবিত্র হজ্জ পালন শেষে ঢাকায় পৌঁছে সন্ধ্যা সাড়ে ৮টা সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাড়ি ফেরার জন্য সন্তানদের নিয়ে মাইক্রোতে উঠি। হঠাৎ একদল অপরিচিত লোক আমার দুই ছেলেকে বহু মানুষের সামনে গাড়ী থেকে নামাতে টানা হেঁচড়া শুরু করে। তাৎক্ষণিক আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওরা পরিচয়পত্র ও অস্ত্র দেখিয়ে নিজেদের সাদা পোশাকদারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দাবি করে। চোখের সামনে থেকে আমার সাথে থাকা ছোট দুই ছেলে শাফিউল আলম ও মনিরুল আলমকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় সঙ্গে থাকা আমার ছোট ছেলের বন্ধু আবুল হায়াতকেও তুলে নিয়ে যায়। পরে সে রাতেই আমার ছেলে শাফিউলকে নিয়ে গভীর রাতে বাসায় যায় তারা। এসময় বাসায় ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা শাফিউলের অপর দুই রুমমেট সফিউল্লাহ ও মোশারফ হোসাইন মা’য়াজকেও তুলে নিয়ে যায়। যার মধ্যে মোশারফ হোসাইন মা’য়াজ নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার বাধাই গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে শাফিউল আলম। যিনি ঢাকা বারের শিক্ষানবিশ আইনজীবী। শাফিউলের ভাই মনিরুল আলম। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী চাপাইনবাবগঞ্জের বালিয়া ডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে মোঃ আবুল হায়াত। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার পশুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে শফিউল্লাহ এবং ডেমরার সারুলিয়া এলাকার পশ্চিম ডগাইরের সাইদুল ইসলামের ছেলে মোশারফ হোসাইন মা’য়াজ।
সংবাদ সম্মেলনের পর ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার ডিসি মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তারা ওই ৫ জনের কাউকেই আটক করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।