পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাহরিকে খাতমে নুবুওয়্যাত বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুফতী ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীরসাহেব জৌনপুরী আজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে ঢাবি ও জাবির কলা এবং মানবিক শাখায় মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্য করা হচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজিতে ২০০ নম্বরের শর্ত পূরণের পরও মাদরাসা ছাত্রদের ভর্তি নেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের সাথে কথা বললে তারা উল্টো ঔদ্ধত্য দেখায় ইসলামি ভাবধারাকে তাচ্ছিল্য করে সংবাদ মাধ্যমে হিজাব পরার কারণে ভর্তি করা যাবে না বলে বক্তব্য দিয়েছে। তিনি তাদের এই ধৃষ্টতার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলে সংবাদে প্রকাশ।
বৈষম্যের জবাবে কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোজাম্মেল বলেছেন, আমরা ‘প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে শিব লিঙ্গ নিয়ে পড়াই, এমন বিষয়ে পড়তে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা বিব্রত বোধ করবে।’ এ ছাড়াও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে দক্ষতা নিয়ে তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে মাদরাসা শিক্ষার্থীর আসন সংখ্যা কমের বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতি সহকারী অধ্যাপক উজ্জল কুমার মন্ডল বলেছেন, মাদরাসা শিক্ষার্থীরা ২০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজি পড়লেও বিভাগের কোন মাধ্যমে কতজন ভর্তি হবে তা বিভাগ ঠিক করবে।
২০০ নম্বরের শর্ত পূরণ করলেও তারা মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করবে না। এমতাবস্থায় সরকারের নিকট প্রশ্ন ঢাবি ও জাবি বাংলাদেশের না ভারতের? ভারতে যেভাবে মুসলমান চাকরিপ্রার্থীকে শর্তপূরণ করলেও চাকরি দেয়া হয় না, ঠিক সেভাবেই সকল শর্তপূরণ করলেও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করছে না জাবি প্রশাসন। এটা হতে পারে না।
সরকারকে এ নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। বাংলাদেশের মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ও ইসলামী পোশাক নিয়ে তাচ্ছিল্য করলে এদেশের ইসলামী জনতা তা বরদাশত করতে পারে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।