নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে গতকাল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল আফগানিস্তান। এই রিপোর্ট লেখার সময় জানার উপায় ছিল না কারা জিতেছে। বাংলাদেশের দেয়া আড়াইশ রানের লক্ষ্যে তখন ৩৩৮.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৭ রান নিয়ে ব্যাট করছিল আফগানস্তান। জয় থেকে তখন তারা ৯৮ রান দুরে, হাতে ৭ উইকেট।
একই দিনে অনুষ্ঠেয় আসরের অপর ম্যাচে জয়ের পথেই ছিল ভারত। পাকিস্তানের দেয়া ২৩৮ রানের লক্ষ্যে কোন উইকেট না হারিয়েই ৩৩ ওভারে ২০৮ রান তুলে ফেলে রোহিত শর্মার দল। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত ছিলেন শেখর ধাওয়ান (১১৩*), রোহিতও (৯৫*) ছিলেন সেই পথে।
২৬ রানের মধ্যে আফগানদের দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। এরপর হাশমতুল্লাহ শহিদি ও মোহাম্মদ শেহজাদের ৬৩ রানের জুটি। শেহজাদকে (৫৩) বোল্ড করে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন মাহমুদউল্লাহ। এরপর অধিনায়ক আজগর আফগানকে (৩৩*) নিয়ে জয়ের দিকেই এগুচ্ছিলেন শহিদি (৬০*)।
আবু ধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ড এক সময় ছিল ৫ উইকেটে ৮৫। ইনিংসের হাইলাইটস বলতে ষষ্ঠ উইকেটে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মধ্যকার ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি এবং এর আগে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের বিষ্ময়কর দুই রান আউট। তবে এগিয়ে রাখতে হবে রেকর্ড জুটিটাকেই। তাতে বড় অবদান ইমরুলের। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান জবাব দিয়েছেন তার প্রতি টিম ম্যানেজমেন্টের অনাস্থা আর অবহেলার। দীর্ঘ দিন পর দলে ফিরে করা তার ৮৯ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসই পথ দেখায় বাংলাদেশকে। আর ৮১ বলে ৭৪ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। বলতে গেলে এদিন রশিদ-মুজিবদের বোতলবন্দি করে রাখেন তারাই।
১৮ রানের মধ্যে নাজমুল হাসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুনকে হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামাল দেয় মুশফিক-লিটনের ৬৩ রানের জুটি। এরপর হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় পথ হড়কে যাওয়া। ২ উইকেটে ৮১ থেকে ৮৭ রানে নেই ৫ উইকেটে! আকাশে বল তুলে রশিদের শিকার হয়ে লিটন (৪১) ফেরার পর সাকিব এসে দলকে এগিয়ে নেবেন কি উল্টো যেভাবে রান আউট হন তা যে কাওউকেই বিষ্ময়ে ফেলতে বাধ্য। বাঁ-হাতি অল রাউন্ডারের দিকে এসময় বিষ্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন মুশফিক। খানিক বাদে একই ভুল করেন মুশফিকও। শর্ট স্কয়ার লেগে বল ঠেলে দেন ইমরুল। অপর প্রান্ত থেকে মুশফিক পড়িমরি করে রানের জন্য দৌড় ধরেন। অথচ বল মোহাম্মদ নবির হাতে। ইমরুলের সাড়া না পেয়ে মুশফিক (৩৩) ফিরে আসার আগেই স্ট্যাম ভেঙে দেন রশিদ। অবশ্য স্টাম হাত দিয়ে ভেঙেছিলেন নাকি পা দিয়ে এ নিয়ে নাটক চলে বেশ কিছু সময়। এই দুই রান আউটেই মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয় বাংলাদেশের।
এরপরই আসে ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর সেই আশা জাগানিয়া রেকর্ড জুটি। ১৯৯৯ সালে গড়া আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাহমুদের গড়া ষষ্ট উইকেটে বাংলাদেশের আগের রেকর্ডটি ছিল ১২৩ রানের। এরপর মাশরাফির (১০) উইকেটটি হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৯।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পর ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের সামনে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প রাস্তা নেই বললেই চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।