বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গণতান্ত্রিক পুনরুদ্ধারের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে সরকারের লজ্জাজনক পরাজয় হবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, দেশের সকল রাজনীতিবিদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তাতে প্রমাণিত হয় আগামীতে এই আন্দোলনে সরকারকে শুধু পদত্যাগ নয় লজ্জাজনক পরাজয় বরণ করতে হবে। গতকাল (রোববার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকার উৎখাতে আন্দোলন শুরু করার আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। এই অত্যাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে এবং এই সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার বিরাগের বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আমরা তাদের শত্রু না। কিন্তু বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকার যে আচরণ করছে তা শত্রুতামূলক। বেগম জিয়া গুরুতর অসুস্থ, তাঁকে যদি এখন সুচিকিৎসা না দেয়া হয় তাহলে তাঁর প্যারালাইজডসহ চোখ অন্ধ হয়ে যেতে পারে। আমরা বার বার সরকারের কাছে তাঁর চিকিৎসার কথা বলা সত্তে¡ও সরকার এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না।
বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ, গণতন্ত্র রক্ষা করার জন্য জেলে যাওয়ার আগেই বেগম খালেদা জিয়া এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে গিয়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন এবং নির্বাচনে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে নিয়োগ করার পাশাপাশি, কোনো ইভিএম যন্ত্র ব্যবহার না করা, সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিতে দেশের বড় বড় রাজনীতিবিদ একই দাবিতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। আমাদের দলও (বিএনপি) এই দাবির সাথে একমত পোষণ করেছে। সকল রাজনীতিবিদ সম্মিলিতভাবে আন্দোলন শুরু করলে এই সরকারের লজ্জাজনক পরাজয় হবে।
এক সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন- যদি ক্ষমতা চলে যায় তাহলে লাইট দিয়েও আমাদের (আওয়ামী লীগ) খুঁজে পাওয়া যাবে না এমন বক্তবের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম বলেন, তাদের এখন শুধু ভয় আর ভয়। এসব সরকারের অস্বস্তির কারণ।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে নজরুল বলেন, সরকার এই আইন পাস করেছে কারণ সাংবাদিকরা যাতে সত্য কোনো নিউজ প্রকাশ করতে না পারে। সরকারের বিরুদ্ধে যেন না লিখতে পারে। সাংবাদিক নেতারা এই বিষয়ে প্রেসিডেন্টের কাছে অভিযোগ করেছে যেন এই আইনে প্রেসিডেন্ট স্বাক্ষর না করে। আমরা সাংবাদিক নেতাদের এই দাবির পূর্ণ সমর্থন জানাই।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহম্মেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।