পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দী হওয়ার পর থেকেই কঠোর আন্দোলনের দাবি জানিয়ে আসছেন দলটির তৃণমূল ও সহযোগী সংগঠনগুলো। বিএনপির সিনিয়র নেতারা বরাবরই আদালতের উপর আস্থা রাখতে চেয়েছেন। বেগম জিয়ার গ্রেফতার পরবর্তী বিভিন্ন বিভাগীয় সমাবেশে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা শীর্ষ নেতৃবৃন্দের কাছে আন্দোলনের ঘোষণার জন্য রীতিমত অনুরোধ জানান। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগের পর তৃণমূলের নেতাকর্মীরা একই দাবি জানান। কিন্তু তাদের সেই অনুরোধ, আহ্বান কোনটিতেই কর্ণপাত করেননি সিনিয়র নেতারা। বরং তাদের আন্দোলনের পরামর্শ নিয়ে সমালোচনা করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রমিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি আন্দোলন-সংগ্রামের পরামর্শের প্রতিত্তোরে পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, এসব সংগঠন কী করেছে? নজরুল ইসলাম বলেন, সহযোগীরা আন্দোলন-সংগ্রামের কথা বলছেন। কিন্তু নিজ এলাকায় খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে বা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আপনারা কী পরিমাণ আন্দোলন-মিছিল করেছেন? কাউকে তো মানা করা হয়নি। এ সময় উপদেশ বাদ দিয়ে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহŸান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ রুদ্ধ করা হলে গণবিপ্লব হয়। তবে বিএনপি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে গণতান্ত্রিক আন্দোলনেই এগোবে। বিভিন্ন মহলে জিয়াউর রহমানকে ছোট করা হচ্ছে জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, নিজেরা বড় না হয়ে যিনি বড়, তাঁকে ছোট করা হচ্ছে।
এ সময় জিয়াউর রহমানের মুক্তিযুদ্ধের খেতাব বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান নিজ বীরত্বের জন্য খেতাব অর্জন করেছেন। তা কেউ বাতিল করতে পারে না।
খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে বন্দী রাখা হয়েছে অভিযোগ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, চিকিৎসার জন্যও বাইরে যেতে দিচ্ছে না। এটা অমানবিকতা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক মন্তব্যের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম বলেন, গণতন্ত্র হত্যা করা হয় সংবিধান বাতিল করে সামরিক শাসন জারি করলে বা সব দল বাতিল করে একদলীয় শাসন কায়েম করলে। আওয়ামী লীগই একদলীয় শাসন কায়েম করে গণতন্ত্র হত্যা করে। বিএনপি কোনো দিন একদলীয় শাসন, বাকশাল বা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেনি।
সভাপতির বক্তব্যে শ্রমিক দলের সভাপতি সালাউদ্দিন সরকার দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, পরিকল্পিত লাগাতার আন্দোলন দিন। মামলা চলুক। আন্দোলনও চলুক। বিচ্ছিন্ন আন্দোলনে কিছু হবে না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।