পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একদিকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে মাঠ রাজনীতিতে চলছে সংশয়, শঙ্কা, নানা প্রশ্ন ও বহুমুখী আলোচনা। অন্যদিকে ভোটের প্রস্তুতিও চলছে। ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে প্রতিটি আসন এলাকায়। সম্ভাব্য প্রার্থীরা যে যার এলাকায় গণসংযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে এবার নতুন মুখের আধিক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা সবখানে সমানতালে মাঠ কাঁপিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রায় প্রতিটি আসনেই ভোটযুদ্ধের আগে চলছে মনোনয়ন যুদ্ধ। বিশেষ করে প্রধান দু’টি দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যেই বেশীরভাগ আসনে মনোনয়ন যুদ্ধটা চলছে। এতকিছুর মাঝেও রাজনীতির মেরুকরণ কী হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, নির্বাচনকালীন সরকার শেষ পর্যন্ত কি হবে, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে কিনা-রাজনীতির টার্নিং পয়েন্টে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন মহলে এমন বহুমুখী প্রশ্ন চারিদিকে জোরদার হচ্ছে। এ চিত্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৩৬টি আসন এলাকার। সবখানে প্রশ্নের পর প্রশ্ন উঠছে কিন্তু কোথাও মিলছে না উত্তর।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, রাজনীতিতে পোড় খাওয়া, অনেক অভিজ্ঞতা, অনেক চড়াই উৎরাই পার কিংবা চুলে পাক ধরা প্রার্থীদের খুব কমই মাঠে নেমেছেন। যারা নামেননি তাদের অনেকের বক্তব্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। তাদের কথা, তাছাড়া এখন রাজনীতিতে অতীত অভিজ্ঞতার চেয়ে এমপি প্রার্থী হওয়া না হওয়ার মানদন্ড হয়েছে অর্থ। ‘ভোট মানেই নোট’-কথাটা ভোট রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচিত। এখন সময় পাল্টেছে। পরিবর্তনের হাওয়ায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে রাজনীতিতে পাকা বা কাঁচা কোন ফ্যাক্টর নয়। অর্থই হচ্ছে বড় ফ্যাক্টর। যত ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধি হোক না ভোট রাজনীতিতে তিনি ছিটকে পড়বেন অর্থের জোর না থাকলে। তবে এ কথাও সত্য, প্রবীনদের পাশাপাশি নবীনরাও রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অনেকক্ষেত্রে নবীনরাই বেশী প্রাধান্য পাচ্ছেন। ভোট রাজনীতিতেও এখন নবীনরা প্রাধান্য পাচ্ছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় নতুন মুখের নামটাই ভোট রাজনীতির মাঠে জোরশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। তাদের পেছনে নেতা-কর্মীদের দীর্ঘ সারি।
নিকট অতীতেও প্রবীনদের মধ্যে যারা ছিলেন ডাকসাইটে। তারা নবীনদের ধাক্কায় এখন অনেকটাই নীরব। তাদের স্থলে সরব হয়ে উঠেছেন নবীনরা। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকা দিন যত এগিয়ে আসছে ততই বড় হচ্ছে। প্রতিটি আসনেই মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অতিমাত্রায় তৎপর। তুলনামূলকভাবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি যারা বিভিন্ন কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন, হয়েছেন বিতর্কিত কিংবা ক্ষমতায় থেকে দল ও জনকল্যাণে রাজনীতির বদলে ব্যক্তিস্বার্থকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তাদের অবস্থা একেবারেই নড়বড়ে। মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলার জন্য নিজেরাই দায়ী বলে মনে করছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের মতে. কিভাবে কতটা জনপ্রিয়তায় বড় ফাটল ধরেছে তা তারা নিজেরা আন্দাজ করতে পারছেন না বলে সুত্রমতে প্রকাশ। কেন্দ্র তাদের মনোনয়ন দিলেও ভরাডুবির আশংকা থাকবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কথা, দশম সংসদের একতরফা নির্বাচনে যারা মনোনয়ন পেয়েছিলেন বা এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনে সে সুযোগ হবে না। কারণ এ নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ। সূত্রমতে, একতরফা নির্বাচনে এমপি হওয়ার সুযোগ পেয়ে কেউ কেউ দলের সাংগঠনিক ভিত শক্তিশালী করা কিংবা জনগণের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কস্থাপনে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা মনোনয়ন থেকে ছিটকে পড়বেন। দলেরই অনেকের বক্তব্য, নানা কোটায়, অমুক প্রভাবশালী নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হওয়া কিংবা অর্থের জোর ও কেন্দ্রে জোরালো লবিংএ মনোনয়নের টিকিট মিললেও ভোটের ফলাফল হবে তাদের ‘বিগ জিরো’। সুত্রমতে, সে কারণে আওয়ামীলীগ চুলচেরা বিশ্লেষণ করে মাঠের খোঁজ নিয়ে প্রার্থী চুড়ান্ত করছে।
অপরদিকে, প্রতিটি আসনেই প্রধান বিরোধীদল বিএনপি’র হামলা মামলায় দৌড়ের ওপর থাকলেও প্রতিটি আসনের চিত্র সংগ্রহ করে জোট শক্তিশালী প্রার্থী দেয়ার চেষ্টা করছে। তাদেরও একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। দলীয় সুত্র জানায়, বিএনপিও প্রার্থী চুড়ান্ত করার ক্ষেত্রে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। যারা ক্ষমতাসীন দলের সাথে লিয়াঁজো করে পিঠ বাঁচিয়েছেন, গায়ে আঁচড় লাগাননি, অথচ ক্ষমতায় থাকার সুবাদে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছেন কর্মীদের মূল্যায়ন করেননি তাদের কেউই মানোয়ন নাও পেতে পারেন। যারা দলের জন্য নিবেদিত তাদেরকে প্রাধান্য দেয়া হবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি আসন এলাকার কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার বক্তব্য, যেহেতু সাংবাদিকতা পেশায় আছেন লেখালেখি করেন তবে কেন যেন এখনো জতীয় নির্বাচনের বিষয় পরিষ্কার নয়। কেমন একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নানা সংশয়, শঙ্কা কাটছে না উপরন্তু জটিল হচ্ছে। এখন রাজনীতির টার্নিং পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আছি। নানা মেরুকরণ ও হিসাব-নিকাশ চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।