Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তামিম-সাকিবের পর মুশফিক

৫ হাজারি ক্লাবে

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সুযোগটা ছিল আগের ম্যাচেই। ২১ রান করে আত্মাহুতি দেওয়ায় ভারতের বিপক্ষে ছোঁয়া হয়নি তা। পাঁচ হাজার থেকে ৭ রান দূরে থেকে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নেমেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার আর ভুল হয়নি। গুবালদিন নাইবকে পুল করে বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে নতুন মাইলফলকে পৌঁছেছেন তিনি। স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় তখন অবশ্য ফুটে উঠল না সেটি। মুশফিকুর রহিমও তুললেন না ব্যাট। তবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অর্জনটি বেশ বড়। ওই শটেই পূর্ণ হলো ওয়ানডেতে মুশফিকের ৫ হাজার রান। তার আগে যে স্বাদ পেয়েছেন বাংলাদেশের কেবল আর মাত্র দুজন। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ছুঁয়ে ফেললেন ৫ হাজার রান। আর সেটা করতে গিয়ে পেছনে ফেলেছেন স্টিভেন ফ্লেমিং, সনাৎ জয়াসুরিয়া, মাহেলা বর্ধনেদের মতো কিংবদন্তিদের।

মাইলফলকের খুব কাছে মুশফিক পৌঁছে গিয়েছিলেন আগের ম্যাচেই। তবে থামতে হয়েছিল আত্মঘাতী রিভার্স সুইপে। গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে প্রয়োজন ছিল কেবল ৭ রান। উইকেটে যাওয়ার পর সেই পথটুকু বাড়ি দেন বেশ দ্রুতই।

বাংলাদেশের হয়ে ৫ হাজার ওয়ানডে রানের স্বাদ আগে পেয়েছেন কেবল তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ১৮১ ইনিংস খেলে ৬ হাজার ৩০৭ রান করেছেন তামিম। সাকিব আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগে করেছেন ১৮০ ইনিংসে ৫ হাজার ৪৮২ রান। রান সংখ্যার মতো তামিম এগিয়ে ৫ হাজার পৌঁছানোর গতিতেও। ১৫৮ ইনিংসে ছুঁয়েছিলেন ৫ হাজার। সাকিবের লেগেছিল ১৬৮ ইনিংস। মুশফিকের লাগল ১৭৬ ইনিংস। ভালো শুরু করেও ইনিংসটি অবশ্য খুব একটা লম্বা করতে পারেননি মুশফিক। বিতর্কিত এক রান আউটে কাটা পড়ে থেমেছেন ৩৩ রানে।

বাকি দুই সতীর্থের চেয়ে পেছনে হলেও মুশফিক পেছনে ফেলে দিয়েছেন বেশ কয়েকজন মহারথীকে। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ফ্লেমিংয়ের ৫ হাজার রানে ঢুকতে লেগেছিল ১৮০ ইনিংস। শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি সনাৎ জয়াসুরিয়ার লেগেছিল ১৮৩ ইনিংস। ব্রেন্ডন ম্যাককুলামের লেগেছিল ১৯১ ইনিংস, অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহর লেগেছিল ১৯৮ ইনিংস।

পাঁচ হাজারি ক্লাবে সবার আগে ঢুকেছিলেন হাশিম আমলা, তাঁর লেগেছিল ১০১ ইনিংস। এর পরেই ঢুকেছেন ভিব রিচার্ডস ও বিরাট কোহলি, দুজনের লেগেছে ১১৪ ইনিংস।

সব ফরম্যাটেই বাংলাদেশের হয়ে রান সংগ্রহে প্রথম তিনটি স্থানে আছেন এই তিন ক্রিকেটার। ওয়ানডেতে তিনে থাকলেও টেস্টে তামিমের পরই ৩৬৯৯ রান নিয়ে দুই মুশফিকুর রহিম। টি-টোয়েন্টিতে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের রান ১১৩১।

মুশফিক সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। রানও সবচেয়ে বেশি তাদের বিপক্ষেই, ৩৯ ইনিংসে ৩৮.৮০ গড়ে ১ হাজার ২০৩। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮.৪৩ গড়ে করেছেন ৬১৫ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৫ ইনিংসে ২৪.৩২ গড়ে ৬০৮ এবং ভারতের বিপক্ষে ১৯ ইনিংসে ৩৭.৪৩ গড়ে ৫৯৯ রান।

২০০৬ সালের অগাস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ বাংলাদেশের হয়ে তার ১৯০তম ওয়ানডে। কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান তার চেয়ে বেশি খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। এই ম্যাচ বাংলাদেশের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের ১৯২তম ওয়ানডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুশফিক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ