নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপের সুপার ফোর পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানকে আড়াইশ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। একই দিনে অনুষ্ঠেয় আসরের অপর ম্যাচে ভারতের সামনে ২৩৮ রানের চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দেয় পাকিস্তান।
আবু ধাবি শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামের ম্যাচটির দিকে যাদের নজর ছিল না তাদের কাছে বাংলাদেশের সংগ্রহটা কম মনে হতে পারে। কিন্তু যখন যানবেন স্কোরবোর্ড এক সময় ছিল ৫ উইকেটে ৮৫, তখন হয়ত ভুল ভাঙবে। বাংলাদেশ ইনিংসের হাইলাইটস বলতে ষষ্ঠ উইকেটে ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মধ্যকার ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি এবং এর আগে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের বিষ্ময়কর দুই রান আউট। তবে এগিয়ে রাখতে হবে রেকর্ড জুটিটাকেই। যার উপর ভর করে লড়াই করার মত পুঁজি পায় টাইগাররা।
তাতে বড় অবদান ইমরুলের। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান জবাব দিয়েছেন তার প্রতি টিম ম্যানেজমেন্টের অনাস্থা আর অবহেলার। দীর্ঘ দিন পর দলে ফিরে করা তার ৮৯ বলে অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসই পথ দেখায় বাংলাদেশকে। আর ৮১ বলে ৭৪ রান আসে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। বলতে গেলে এদিন রশিদ-মুজিবদের বোতলবন্দি করে রাখেন তারাই।
১৮ রানের মধ্যে নাজমুল হাসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুনকে হারিয়ে বেকায়দায় পড়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামাল দেয় মুশফিক-লিটনের ৬৩ রানের জুটি। এরপর হঠাৎ এক দমকা হাওয়ায় পথ হড়কে যাওয়া। ২ উইকেটে ৮১ থেকে ৮৭ রানে নেই ৫ উইকেটে! আকাশে বল তুলে রশিদের শিকার হয়ে লিটন (৪১) ফেরার পর সাকিব এসে দলকে এগিয়ে নেবেন কি উল্টো যেভাবে রান আউট হন তা যে কাওউকেই বিষ্ময়ে ফেলতে বাধ্য। স্থায়ী ছিলেন মাত্র ২ বল। শর্ট মিড উইকেটে বল ঠেলে যেভাবে দৌড় দেন তাতে মনে হতে পারে জয়ের জন্য এই রানটি নিতেই হত বাংলাদেশকে। অপর প্রান্তে ক্রিজই ছাড়েননি মুশফিক। অবস্থা বেগতিক দেখে মাঝ রাস্তা থেকে ফিরে যাওয়ারও চেষ্টা করেননি সাকিব। বাঁ-হাতি অল রাউন্ডারের দিকে এসময় বিষ্ময় দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন মুশফিক। শুধু মুশফিক কেন পুরো বাংলাদেশই নয় কি?
আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো খানিক বাদে একই ভুল করেন মুশফিকও। শর্ট স্কয়ার লেগে বল ঠেলে দেন ইমরুল। অপর প্রান্ত থেকে মুশফিক পড়িমরি করে রানের জন্য দৌড় ধরেন। অথচ বল মোহাম্মদ নবির হাতে। ইমরুলের সাড়া না পেয়ে মুশফিক (৩৩) ফিরে আসার আগেই স্ট্যাম ভেঙে দেন রশিদ। অবশ্য স্টাম হাত দিয়ে ভেঙেছিলেন নাকি পা দিয়ে এ নিয়ে নাটক চলে বেশ কিছু সময়। এই দুই রান আউটেই মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয় বাংলাদেশের।
এরপরই আসে ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর সেই আশা জাগানিয়া রেকর্ড জুটি। ১৯৯৯ সালে গড়া আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাহমুদের গড়া ষষ্ট উইকেটে বাংলাদেশের আগের রেকর্ডটি ছিল ১২৩ রানের। এরপর মাশরাফির (১০) উইকেটটি হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৯।
সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বাজেভাবে হারের পর ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের সামনে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প রাস্তা নেই বললেই চলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।