Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ওয়াশিংটন আগুন নিয়ে খেলছে -রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ২:৩৪ পিএম

রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কেনার কারণে চীনের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপর ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া ও চীন উভয়েই। মস্কো বলছে যে, ওয়াশিংটন আগুন নিয়ে খেলছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগেই হুমকি দিয়েছিল ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারকারী রাশিয়ার কাছ থেকে কোন দেশ অস্ত্র কিনলে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
সম্প্রতি চীন রাশিয়ার কাছ থেকে ১০টি সুখই যুদ্ধবিমান এবং ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণ-যোগ্য এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে। তাই চীনের সেনাবাহিনীর ক্রয় শাখা এখন মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন। এই বিভাগ এবং তার পরিচালক লি শাংফু এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন রপ্তানি লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন না এবং মার্কিন অর্থ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবেন না।
ওয়াশিংটন বলছে, রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনে চীন রাশিয়ার উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করেছে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনে মস্কোর হস্তক্ষেপের জবাবে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞায় তখন যোগ দেয়নি চীন।
এতে ক্ষুব্ধ চীনের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনকে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার জন্য জোর আহ্বান জানাচ্ছেন - অন্যথায় তাদেরকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
চীনও এখন উন্নত মানের সামরিক অস্ত্র তৈরি করছে। কিন্তু তারপরেও তারা আমেরিকার কাছে থেকে সর্বাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে আগ্রহী। এ বিষয়ে রাশিয়া আগে খুব একটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু এখন এই প্রযুক্তি বেইজিং-এর সাথে শেয়ার করতে মস্কো আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন মার্কাস বলছেন, ‘এখানে আসল লক্ষ্য রাশিয়া - চীন নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপের ফলে এসব বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে এমন সম্ভাবনা কম, বরং এর ফলে বিপরীত প্রতিক্রিয়া হতে পারে - চীন ও রাশিয়ার সহযোগিতা আরো বেড়ে যেতে পারে।’ সূত্র: বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাশিয়া


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ